কথা বাতিল হওয়ায় ক্ষুব্ধ ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী: 'যতদিন দিদি বাংলায় থাকবেন, আমরা যাব না'

কথা বাতিল হওয়ায় ক্ষুব্ধ ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী: 'যতদিন দিদি বাংলায় থাকবেন, আমরা যাব না'

ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বাংলায় তাঁর আয়োজিত কথা বাতিল হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, “যতদিন দিদি বাংলায় থাকবেন, আমরা যাব না।” তিনি অনুগামীদের বলেছেন যে বাতিল হওয়ার ঘটনায় হাসিমুখে ‘ধন্যবাদ’ বলতে।

রায়পুর: বাগেশ্বর ধামের পীঠাধীশ্বর পণ্ডিত ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের তাঁর আয়োজিত কথা বাতিল হওয়ায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। শাস্ত্রী বলেছেন, "যতদিন দিদি বাংলায় থাকবেন, আমরা সেখানে যাব না। দিদির জায়গায় যখন দাদা আসবেন, তখন অবশ্যই যাব।"

এই বিবৃতিটি এমন সময় এসেছে যখন ১০ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত কলকাতায় আয়োজিত হতে চলা বাবা বাগেশ্বরের কথার অনুমতি বাতিল করা হয়েছিল। শাস্ত্রীজি তাঁর অনুগামীদের আশ্বস্ত করেছেন যে তাঁর উদ্দেশ্য কেবল ধর্ম ও সমাজের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া, কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়ানো নয়।

শাস্ত্রী অনুগামীদের ধন্যবাদ বলতে বলেছেন

ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী কথা বাতিল হওয়ায় তাঁর অনুগামীদের সামনে হাসিমুখে বলেছেন, "আমরা বলেছি ধন্যবাদ বলে দিতে।" তিনি স্পষ্ট করেছেন যে তাঁর উদ্দেশ্য ধর্ম ও নৈতিক মূল্যবোধের প্রচার করা।

শাস্ত্রী বলেছেন যে তাঁর মনোযোগ সমাজের নৈতিক দিকনির্দেশনা দেওয়ার দিকে। তিনি আরও যোগ করেছেন যে ধর্মীয় কার্যকলাপে কোনো রাজনৈতিক বিতর্কের প্রভাব পড়া উচিত নয়। এই বিবৃতিটি ধর্মীয় সমাজে আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং মানুষ কৌতূহলী যে ভবিষ্যতে তাঁর বাংলা সফরের উপর কী প্রভাব পড়বে।

সমাজকে নৈতিক দিকনির্দেশনা দেওয়ার পরামর্শ

ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে বলেছেন, "ঈশ্বর করুন দিদি যেন থাকেন, আমাদের তাঁর প্রতি কোনো বিদ্বেষ নেই, কিন্তু বুদ্ধি ঠিক রাখুন, ধর্মের বিরুদ্ধে থাকবেন না।"

শাস্ত্রীর এই অবস্থান স্পষ্ট করে যে তিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং কথা-প্রবচনের মাধ্যমে সমাজে নৈতিক বার্তা দিতে চান। তিনি অনুগামীদের ধর্মের মূল্যবোধ এবং সমাজের মঙ্গলের দিকে মনোযোগ দিতে পরামর্শ দিয়েছেন।

এই সময় শাস্ত্রী আরও বলেছেন যে তিনি কোনো ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াতে চান না, বরং শুধু ধর্ম ও নৈতিকতার দিকনির্দেশনা দেওয়াই তাঁর উদ্দেশ্য।

কলকাতা কথা অনুষ্ঠান বাতিল

শাস্ত্রী বলেছেন যে ১০ থেকে ১২ অক্টোবর কলকাতায় কথা আয়োজিত হতে পারবে না। যদিও, ভবিষ্যতে এই সফর কেবল তখনই হবে যখন উপযুক্ত পরিবেশ এবং অনুমতি পাওয়া যাবে।

ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী অনুগামীদের এবং সমাজের জন্য বার্তা দিয়েছেন যে ধর্ম ও নৈতিকতা সর্বদা সর্বাগ্রে। তিনি এও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তাঁর আসন্ন কর্মসূচিতে কোনো বাধা না আসে, এর জন্য প্রশাসন এবং অনুগামীদের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে।

Leave a comment