রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী দিয়া কুমারী দীপাবলির আগে প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভাঙা রাস্তা মেরামতের জন্য ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছেন। বর্ষার পর খারাপ হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো দীপাবলির মধ্যে নতুন ও নিরাপদ হবে।
জয়পুর: রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং পূর্তমন্ত্রী দিয়া কুমারী দীপাবলির আগে রাজ্যের মানুষকে একটি বড় সুখবর দিয়েছেন। বর্ষার বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের জন্য প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়াও, যোধপুরে নতুন সড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে, যা রাজ্যের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে।
ভাঙা রাস্তা মেরামতের জন্য বড় পদক্ষেপ
বর্ষার সময় রাজ্যজুড়ে রাস্তাগুলির অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। দিয়া কুমারী বলেছেন যে দীপাবলির মধ্যে সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত নিশ্চিত করা হবে। এর জন্য মেরামত কাজের উপর কঠোর নজরদারি রাখা হবে এবং দায়িত্বশীল ঠিকাদারদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে।
উপমুখ্যমন্ত্রী আরও জানান যে পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সড়ক নির্মাণের মান ঠিক ছিল না। এবার নতুন রাস্তা নির্মাণ ও মেরামতের ক্ষেত্রে গুণমানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র সড়ক দুর্ঘটনা কমানো নয়, বরং জনগণকে নিরাপদ ও সুবিধাজনক পরিবহন সরবরাহ করাও।
প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে রাস্তা মেরামতের জন্য ৫-১০ কোটি টাকা
রাজ্য সরকার প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে রাস্তা মেরামতের জন্য ৫ থেকে ১০ কোটি টাকা অনুমোদন করেছে। এই অর্থ দিয়ে দীপাবলির মধ্যে পাড়া ও গলির ভাঙা রাস্তাগুলি ঠিক করা হবে। আধিকারিক ও ঠিকাদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে কাজ সময়মতো এবং গুণমানের সাথে সম্পন্ন করতে হবে।
রাজ্যের অনেক অংশে ভারী বৃষ্টির কারণে রাস্তাগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মানুষ দৈনন্দিন জীবনে এর সম্মুখীন হচ্ছিল। এখন এই নতুন প্রকল্পের আওতায় রাস্তাগুলি কেবল মেরামতই হবে না, বরং যান চলাচলও মসৃণ ও নিরাপদ হবে।
যোধপুরে নতুন সড়ক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
দিয়া কুমারী যোধপুরের লুনি তহসিলে ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য রাস্তাগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। এর মধ্যে বোরানাদা-সালাবাস, বাসনি সার-ধুন্ধাড়া-জেলা সীমা এবং গুধা-ভান্ডুকলাঁ হয়ে মোগড়া-সালাবাস-নন্দওয়ান-হিরখেড়া-এর মতো প্রধান রাস্তাগুলির নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত।
এই অনুষ্ঠানে সংসদীয় কার্যবিধি ও আইন মন্ত্রী জোগারাম প্যাটেল, বিধায়ক অতুল ভনসালি, অরুণ চৌধুরী, হামির সিং ভায়াল, যশবন্ত সিং বিষ্ণোই, ত্রিভুবন সিং ভাটি এবং আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এই উদ্যোগের ফলে যোধপুরে যান চলাচল আরও উন্নত হবে এবং আঞ্চলিক উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে।
সড়ক নির্মাণে গুণমান ও নজরদারিতে কঠোরতা
দিয়া কুমারী বলেছেন যে এবার সড়ক নির্মাণ ও মেরামতে গুণমানের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে। ঠিকাদারদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে এবং কাজের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হবে। এর ফলে কেবল রাস্তাগুলির নিরাপত্তা বাড়বে না, বরং সাধারণ মানুষের বিশ্বাসও দৃঢ় হবে।
সরকারের এই উদ্যোগটি কেবল দীপাবলির মধ্যে রাস্তাগুলিকে নিরাপদ ও মসৃণ করতে সাহায্য করবে না, বরং দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে রাজ্যের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। জনসাধারণ এখন উন্নত রাস্তা এবং নিরাপদ যাত্রা উভয়ই পাবে।