ভারতে পথকুকুরের আতঙ্ক: বাড়ছে আক্রমণের সংখ্যা, উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট

ভারতে পথকুকুরের আতঙ্ক: বাড়ছে আক্রমণের সংখ্যা, উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্ট

ভারতে পথকুকুরের হুমকি দ্রুত বাড়ছে। ২০২৪ সালে ৩৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ এদের আক্রমণের শিকার হয়েছেন, যাদের মধ্যে লক্ষ লক্ষ শিশু রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি-এনসিআর-এ পথকুকুরদের ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দিয়েছে, যাতে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

Dog Bite Cases: ২০২৪ সালে দেশজুড়ে পথকুকুরের কামড়ের ৩৭,১৭,৩৩৬টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৫,১৯,৭০৪টি মামলা ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের। মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি কেস সামনে এসেছে। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি, গুরুগ্রাম, গাজিয়াবাদ এবং নয়ডাতে পথকুকুরদের ধরে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর কড়া নির্দেশ জারি করেছে, যাতে ক্রমবর্ধমান হামলা এবং রেবিজ সংক্রমণ থেকে মানুষের জীবন বাঁচানো যায়।

সুপ্রিম কোর্টের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার

আদালত তার আদেশে বলেছে যে নাগরিকদের নিরাপত্তা সর্বাগ্রে এবং এই বিষয়ে কোনও প্রকার আবেগপূর্ণ যুক্তিতর্ককে অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে না। আদালত জোর দিয়ে বলেছে যে প্রশাসনকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে পথকুকুরদের দ্বারা হওয়া হামলা এবং তাদের কারণে ছড়িয়ে পড়া রোগগুলি নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

২০২৪ সালের পরিসংখ্যান চমকে দেওয়ার মতো

পশুপালন ও দুগ্ধ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে যে জানুয়ারি ২০২৪ থেকে ডিসেম্বর ২০২৪ এর মধ্যে দেশজুড়ে কুকুরের কামড়ের ৩৭,১৭,৩৩৬টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ২১,৯৫,১২২টি মামলা গ্রামীণ এলাকা থেকে এসেছে। বিশেষ বিষয় হল, আক্রান্তদের মধ্যে বড় সংখ্যায় ছিল ১৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা—মোট ৫,১৯,৭০৪ জন শিশু এই হামলার শিকার হয়েছে।

এই সময়ে রেবিজে সংক্রমিত হয়ে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সময় মতো চিকিৎসা বা ভ্যাকসিন না নেওয়ার কারণে প্রাণহানি ঘটেছে। তবে, লক্ষ লক্ষ মানুষ এমনও ছিলেন যারা কুকুরের কামড়ের तुरंत बाद অ্যান্টি-রেবিস ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন, যার ফলে তাদের জীবন রক্ষা পেয়েছে।

কোন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা?

সরকারি পরিসংখ্যান বলছে যে ২০২৪ সালে মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ুতে সবচেয়ে বেশি ডগ বাইটের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।

  • মহারাষ্ট্র: ৪,৮৫,০০০+ মামলা
  • তামিলনাড়ু: ৪,৮০,০০০ মামলা
  • গুজরাট: ৩,৯২,০০০ মামলা
  • কর্ণাটক: ৩,৬১,০০০ মামলা
  • বিহার: ২,৬৩,০০০ মামলা
  • অন্ধ্র প্রদেশ: ২,৪৫,০০০ মামলা
  • অসম: ১,৬৬,০০০ মামলা
  • উত্তর প্রদেশ: ১,৬৪,০০০ মামলা
  • রাজস্থান: ১,৪০,০০০ মামলা
  • দিল্লি: ২৫,০০০+ মামলা

এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট যে সমস্যাটি কেবল কোনও একটি রাজ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি জাতীয় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিশু ও মহিলাদের উপর বেশি खतरा

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে শিশুদের উচ্চতা এবং তাদের খেলাধুলার পদ্ধতি কুকুরদের উত্তেজিত করে তোলে। একইভাবে, মহিলারা প্রায়শই সকাল-সন্ধ্যা घर के बाहर निकलती हैं, जब कुत्तों के झुंड सबसे अधिक सक्रिय होते हैं। ফলস্বরূপ, এই উভয় শ্রেণীর উপর হামলার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সরকারের पहल और योजनाएं

ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে राष्ट्रीय रेबीज नियंत्रण कार्यक्रम (NRCP) चलाया जा रहा है। इसके तहत:

  • রাজ্যগুলিকে অ্যান্টি রেবিজ ভ্যাকসিনের জন্য বাজেট দেওয়া হয়।
  • প্রতিটি জেলা, শহর और गांव में सामुदायिक स्वास्थ्य केंद्रों पर वैक्सीन की उपलब्धता सुनिश्चित की जाती है।
  • आम जनता और स्वास्थ्यकर्मियों के लिए वर्कशॉप और ट्रेनिंग प्रोग्राम आयोजित किए जाते हैं।
  • অ্যান্টি রেবিস ক্লিনিক খোলা হয়।
  • रेबीज मुक्त भारत की दिशा में जनजागरूकता अभियान चलाए जाते हैं।
  • হেল্পলাইন নম্বর জারি कर त्वरित सहायता उपलब्ध कराई जाती है।

কেন বাড়ছে পথকুকুরের সংকট?

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এর পিছনে অনেক কারণ রয়েছে:

  • আবর্জনা का अनियंत्रित ढेर: शहरों और कस्बों में खुले में फैला कचरा आवारा कुत्तों के लिए आसान भोजन का स्रोत बनता है।
  • নसबंदी कार्यक्रम की धीमी रफ्तार: आवारा कुत्तों की आबादी को नियंत्रित करने के लिए नसबंदी कार्यक्रम कई जगहों पर या तो धीमा है या बिल्कुल नहीं हो रहा।
  • শहरीकरण और विस्थापन: नई कॉलोनियों और निर्माण कार्यों के कारण कुत्तों का प्राकृतिक आवास खत्म हो रहा है, जिससे वे आबादी वाले इलाकों में आ रहे हैं।

Leave a comment