ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমানোর দাবি করেছেন।
Nobel Peace Prize Trump: ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। নেতানিয়াহুর মতে, ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে অনেক সংঘাত নিরসন করেছেন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ট্রাম্প এই উপলক্ষে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস এবং বাণিজ্যিক চুক্তির সাফল্যের কথা উল্লেখ করেছেন, যা তাঁর কৃতিত্বের অংশ।
নেতানিয়াহু ট্রাম্পকে শান্তির দূত বলেছেন
ওয়াশিংটন থেকে আসা একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক খবরে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। নেতানিয়াহু বলেছেন যে তিনি এই বিষয়ে নোবেল কমিটিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে ট্রাম্পের বিশ্ব শান্তির জন্য নেওয়া পদক্ষেপ এবং অবদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমি আপনাকে সেই চিঠিটি দিতে চাই যা নোবেল পুরস্কার কমিটিকে পাঠানো হয়েছে। এতে আপনাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। আপনি এর যোগ্য এবং আপনার এই পুরস্কার পাওয়া উচিত।”
ট্রাম্পের দাবি - অনেক বড় সংঘাত থামিয়েছেন
ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এই প্রশংসার প্রতিক্রিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি তাঁর মেয়াদে বেশ কয়েকটি বড় বৈশ্বিক সংঘাত থামাতে সাহায্য করেছেন। তিনি বিশেষভাবে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প বলেছেন, “আমরা অনেক যুদ্ধ থামিয়েছি। এর মধ্যে একটি বড় যুদ্ধ ছিল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। আমরা বাণিজ্য ও কূটনীতির মাধ্যমে উভয় দেশকে বুঝিয়েছি যে তারা যদি যুদ্ধের পথে যায় তবে আমেরিকা তাদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করবে না। আমরা ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করছিলাম এবং আমরা স্পষ্ট করে দিয়েছিলাম যে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আমরা পিছিয়ে আসব। সম্ভবত তারা সেই সময়ে পারমাণবিক সংঘাতের দ্বারপ্রান্তে ছিল। এটি প্রতিরোধ করা খুব জরুরি ছিল।”
ভারত-পাকিস্তানের প্রসঙ্গে ট্রাম্পের ভূমিকা
ট্রাম্পের দাবি, তাঁর হস্তক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমেছে। তিনি বলেন, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যের মাধ্যমে শান্তির পথ খোলা হয়েছে। এই দাবি আন্তর্জাতিক রাজনীতির দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক ক্রমাগত উত্তেজনাপূর্ণ থাকে।
যদিও, এই বিষয়ে ভারত বা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি আসেনি, তবে ট্রাম্পের এই মন্তব্য দেখাচ্ছে যে আমেরিকা তার স্বার্থ বিবেচনা করে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য চেষ্টা করেছিল।
বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ট্রাম্পের সাফল্য
নোবেল পুরস্কারের আলোচনার পাশাপাশি ট্রাম্প তাঁর মেয়াদে কিছু অন্যান্য সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন যে আমেরিকার নেতৃত্বে তাঁর আমলে বেশ কয়েকটি বড় বাণিজ্যিক চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, চীন এবং ভারতের সঙ্গে হওয়া চুক্তিগুলো উল্লেখযোগ্য।
যখন ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি মার্কিন শুল্ক নীতিতে নমনীয়তা দেখাবেন কিনা, তখন তিনি বলেন, “আমি দৃঢ়, তবে ১০০ শতাংশ নয়। যদি কোনও দেশ আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায় এবং বলে যে আমরা কোনও কিছু আলাদাভাবে করতে চাই, তবে আমরা তার জন্য প্রস্তুত।”