কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধুই ওষুধ খাওয়া যথেষ্ট নয়। হাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে ডায়েট থেকে শরীরচর্চা পর্যন্ত সবকিছুতে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এটি শুধুমাত্র হার্ট অ্যাটাক বা পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ এড়াতে সাহায্য করে না, বরং সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য।
ট্রান্স ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট এড়াতে হবে
কোলেস্টেরল বাড়ার মূল কারণ হলো খাবারে ফ্যাটের অতিরিক্ত মাত্রা। ট্রান্স এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ খাবারগুলো—যেমন ভাজাভুজি, ফাস্ট ফুড, প্যাকেটবন্দি চিপস, পপকর্ন এবং বিস্কুট—বর্জন করা জরুরি। পাশাপাশি রেড মিট, স্কিনসহ চিকেন, মাখন, পাম তেল, চিজ এবং সাদা তেল এড়ানো উচিত।
হেলদি ফ্যাট: কোলেস্টেরলের বন্ধু
ফ্যাট সবসময় খারাপ নয়। মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যকর। এগুলো কেবল এলডিএল কমায় না, বরং এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলও বাড়ায়। খাদ্যতালিকায় রাখুন দেশি ঘি, আখরোট, আমন্ড, অলিভ অয়েল, চিয়া সিডস, ফ্ল্যাক্স সিডস, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি।
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি খান
খারাপ কোলেস্টেরল রক্তনালিতে প্লাক হিসেবে জমা হয়, যা হার্টের জন্য বিপদ সৃষ্টি করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাজা শাক, মরশুমি সব্জি, ফল, দানাশস্য, ডাল, ওটস এবং ব্রাউন রাইসের মতো খাবার ডায়েটে রাখুন। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ওজন বাড়তে দেয় না।
ব্যায়াম ছাড়া চলবে না
কোলেস্টেরল এবং ওজন একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে রোজ ৩০ মিনিটের ব্যায়াম অপরিহার্য। জিমে না গেলেও জগিং, সাইকেলিং, সুইমিং, স্কিপিং বা অন্যান্য কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ করা যেতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
সঠিক জীবনধারা এবং সচেতনতা
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ মানে শুধু খাদ্য নয়, পুরো জীবনধারায় পরিবর্তন আনা। সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম, ফাস্ট ফুড ও ক্ষতিকারক ফ্যাট এড়ানো—এগুলো মেনে চললেই কোলেস্টেরল বশে রাখা সম্ভব। স্বাস্থ্যের জন্য সচেতনতা এবং নিয়মিত চেকআপ অপরিহার্য।