Donald Trump-Vladimir Putin Meeting: বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি খুব শীঘ্রই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বুদাপেস্টে বৈঠক করবেন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন তাঁকে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। ট্রাম্প দাবি করেন, এই সাফল্যই ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় নতুন আশার সঞ্চার করবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের নতুন কূটনৈতিক মিশন
রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাতে এবার সরাসরি উদ্যোগ নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির পর এবার ইউরোপে শান্তি ফেরানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি। পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প জানান, এই আলোচনা ছিল অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং ইতিবাচক।তিনি আরও বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য, শান্তি প্রক্রিয়া এবং ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে।”
পুতিনের প্রশংসায় ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া
ট্রাম্প জানান, ফোনালাপে পুতিন তাঁর ও মেলানিয়া ট্রাম্পের মানবিক উদ্যোগের প্রশংসা করেন। রুশ প্রেসিডেন্ট নাকি উল্লেখ করেছেন, “মার্কিন নেতৃত্বের এই প্রচেষ্টায় মানবতা নতুন দিশা পাচ্ছে।” ট্রাম্প দাবি করেন, এই সংলাপই ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির ভিত্তি তৈরি করবে।
বুদাপেস্ট বৈঠকের প্রস্তুতি ও কূটনৈতিক কৌশল
আগামী সপ্তাহে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি বৈঠক হবে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে। সেই বৈঠকই বুদাপেস্টে ট্রাম্প-পুতিন মুখোমুখি আলোচনার পূর্বধাপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিরপেক্ষ ভূমির কারণে বুদাপেস্টকে এই বৈঠকের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।ক্রেমলিন সূত্রে খবর, রাশিয়ার তরফ থেকেই ফোনালাপের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
ক্রেমলিনের সতর্কবার্তা: ইউক্রেনে অস্ত্র দিলে ক্ষতি
রাশিয়ার তরফে পুতিন সতর্ক করেছেন, যদি আমেরিকা ইউক্রেনকে টমাহক ক্রুজ মিসাইল দেয়, তবে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে এবং দুই দেশের সম্পর্ক আরও তিক্ত হতে পারে। এই অবস্থায় বুদাপেস্ট বৈঠক যে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হতে চলেছে, তা স্পষ্ট।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার পুতিনের সঙ্গে ফোনে দীর্ঘ আলোচনার পর ট্রাম্প জানান, শীঘ্রই বুদাপেস্টে মুখোমুখি বৈঠক হবে দুই রাষ্ট্রনেতার। পুতিন প্রশংসা করেছেন ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরানোর প্রচেষ্টারও।