মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বাড়িতে অত্যন্ত গোপনীয় রেকর্ড রেখেছিলেন এবং সরকারে তাঁর কার্যকালের সাথে সম্পর্কিত ডায়েরির মতো নোট তাঁর আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করেছিলেন।
ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বাড়িতে অত্যন্ত গোপনীয় রেকর্ড রেখেছিলেন এবং সরকারে তাঁর কার্যকালের সময় তৈরি করা ডায়েরির মতো নোট আত্মীয়দের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন। এই নোটগুলিতে সংবেদনশীল এবং গোপনীয় তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এই ঘটনাটি তখন সামনে আসে যখন ইরানি শাসনের সাথে যুক্ত বলে মনে করা সাইবার এজেন্টরা বোল্টনের ইমেল হ্যাক করে। প্রসিকিউটরদের দাবি, এই ঘটনার সময় বোল্টন এফবিআইকে সম্পূর্ণ তথ্য দেননি।
কীভাবে ঘটনাটি সামনে এল
প্রসিকিউটরদের মতে, ২০২১ সালে বোল্টনের একজন প্রতিনিধি এফবিআইকে জানান যে তাঁর ইমেল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। তবে, তিনি জানাননি যে তাঁর ইমেলগুলিতে সংবেদনশীল এবং গোপনীয় নথিও ছিল, যা এখন হ্যাকারদের নাগালের মধ্যে ছিল। এই ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্বেগের কারণ হল, রাষ্ট্রপতি প্রশাসন সম্পর্কিত গোপন তথ্য ভুল হাতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। প্রসিকিউটরদের দাবি, এটি জাতীয় সুরক্ষার দিক থেকে একটি গুরুতর বিষয়।
- বাড়িতে গোপন রেকর্ড রাখা: অভিযোগ, বোল্টন তাঁর বাড়িতে সরকার-সম্পর্কিত গোপনীয় নথি রেখেছিলেন, যা সংবেদনশীল তথ্য হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ ছিল।
- আত্মীয়দের সাথে শেয়ার করা: তাঁর পরিবার এবং ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সাথে নোট এবং ডায়েরির মতো উপকরণ ভাগ করে নিয়েছিলেন, যার মধ্যে রাষ্ট্রপতি প্রশাসন এবং জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্য ছিল।
- এফবিআইকে তথ্যের অভাব: ইমেল হ্যাকিংয়ের ঘটনা সম্পর্কে এফবিআইকে সম্পূর্ণ তথ্য দেননি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মার্কিন আইনের অধীনে গোপন রেকর্ডের সুরক্ষা এবং ভাগ করার গুরুতর লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে।
ইরানি হ্যাকিংয়ের ঘটনা
এই ঘটনা থেকে আরও জানা গেছে যে ইরানি শাসনের সাথে যুক্ত সাইবার এজেন্টরা বোল্টনের ইমেলগুলিতে প্রবেশাধিকার পেয়েছিল। তাদের দাবি, তারা এই ইমেলগুলিতে থাকা সংবেদনশীল সামগ্রী পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার ব্যক্তিগত ইমেল এবং নোটে গোপন তথ্য থাকা নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়ায়। যদি এই তথ্য বিদেশি সংস্থা বা হ্যাকার গোষ্ঠীগুলির হাতে চলে যায়, তবে তা আমেরিকার কৌশলগত এবং কূটনৈতিক অগ্রাধিকারের জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
মার্কিন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘটনাটি পূর্ববর্তী প্রশাসন এবং বর্তমান জাতীয় নিরাপত্তা কাঠামোর জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে। উপরন্তু, যদি এটি প্রমাণিত হয় যে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে নিরাপত্তার নিয়মাবলী লঙ্ঘন করে গোপনীয় নথি ভাগ করেছেন, তবে বোল্টনকে আইনত দোষী সাব্যস্ত করা যেতে পারে।
মার্কিন বিচার বিভাগ এখনও এই বিষয়ে বিস্তারিত বিবৃতি দেয়নি, তবে সূত্র অনুযায়ী প্রসিকিউটররা গুরুতর জাতীয় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ভিত্তিতে তদন্ত দ্রুততর করেছেন।