Anubrata Mondal TMC Candidate Announcement: বীরভূমের সাঁইথিয়া থেকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন তৃণমূল প্রার্থী লীলাবতি সাহা—এমনই ঘোষণা করলেন অনুব্রত মণ্ডল। এখনও রাজ্যজুড়ে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না হলেও, বিজয়া সম্মেলনীর সভা থেকে অনুব্রতের এই আগাম ঘোষণা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। কেষ্টর বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, “লীলাবতি মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী। পাল্টা তোপ দেগেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার, বলছেন এবার দেখা যাক কাজল শেখ কী করেন!
বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চেই অনুব্রতের আগাম ঘোষণা
বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকেই অনুব্রত মণ্ডল বলে ওঠেন, “ছাব্বিশের ভোট কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট। প্রার্থী যেই হোক, চিন্তা করবেন না—লীলাবতি মানেই মমতা।”এই বক্তব্যেই পরিষ্কার, অনুব্রতর পছন্দের প্রার্থী লীলাবতি সাহা। দলের তরফে যদিও এখনও কোনও আনুষ্ঠানিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি, তবুও কেষ্টর মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।
দলের ভেতরে নতুন তরঙ্গ, বিজেপির কটাক্ষ
অনুব্রতের এই ঘোষণায় দলীয় মহলেই শুরু হয়েছে চাপানউতর। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার খোঁচা দিয়ে বলেন, “এবার দেখা যাক কাজল শেখ কতদিন লীলাবতির লীলা সহ্য করেন।”রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অনুব্রতের এই আগাম প্রার্থী ঘোষণা দলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণে নতুন রেশ টানছে।
কাজল শেখ বনাম অনুব্রত সংঘাতের প্রেক্ষাপট
সাম্প্রতিক সময়ে কাজল শেখ ও অনুব্রত মণ্ডলের মধ্যে সংঘাত কম হয়নি। যদিও তৃণমূলের ওপরতলা থেকে এসেছে কোন্দল ভুলে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ। নানুরে দলের বিজয়া সম্মেলনীতে কাজল শেখ স্পষ্ট বলেন, “নানুর থেকে এবারের ভোটে এক লক্ষ আঠারো হাজারের লিড হবে।তাঁর এই আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য দলের একাংশের মনোবল বাড়ালেও, প্রার্থী ঘোষণায় অংশ না নেওয়া নিয়ে জল্পনা রয়ে গেছে।
দলের ভেতর সমন্বয়ের বার্তা, তবুও প্রশ্ন অনেক
দলের তরফে একাধিক বিজয়া সম্মেলনীতে কোর কমিটির সদস্যদের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কাজল শেখ অবশ্য জানিয়েছেন, “কে মঞ্চে থাকল, কে থাকল না সেটা বিষয় নয়। আমরা সবাই দলের কর্মী।”এই বক্তব্যে শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যের ইঙ্গিত থাকলেও, অনুব্রতের আগাম ঘোষণা দলের ‘সম্মিলিত সিদ্ধান্ত’-এর কাঠামোয় প্রশ্ন তুলেছে।
ভোটের মাস কয়েক আগেই অনুব্রত মণ্ডলের মুখে সাঁইথিয়ার তৃণমূল প্রার্থীর নাম—লীলাবতি সাহা। বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করেন কেষ্ট। বলেন, “লীলাবতি মানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী।” ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র চর্চা, পাল্টা খোঁচা দিল বিজেপিও।