ঘটনার ভয়াবহতা:দমদমে ফের শিউরে ওঠার মতো নারকীয় কাণ্ড। টিউশন সেরে ফেরার পথে সপ্তম শ্রেণির এক নাবালিকাকে বসতিতে তুলে নিয়ে গিয়ে ‘গণধর্ষণ’-এর অভিযোগ উঠল তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে। পুলিশ ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ, এবং বেআইনি আটকে রাখার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে।

নাবালিকার অভিযোগে চাঞ্চল্য:পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় টিউশন সেরে ফেরার সময় দমদমের ওই নাবালিকার সঙ্গে দেখা হয় তার এক বন্ধুর। প্রথমে কমলাপুর পার্কে বসে কিছুক্ষণ গল্প হয় তাদের মধ্যে। কিছু সময় পর সেখানে আসে আরও দুই বন্ধু। অভিযোগ, তিনজন মিলে মেয়েটিকে জোর করে টোটোতে তোলে এবং সরাসরি নিয়ে যায় দমদমের ২ নম্বর মতিলাল কলোনির হরিজন বসতিতে।
বসতিতে ঘটে নরকযন্ত্রণা:
অভিযোগ, সেখানে একটি ঝুপড়ি ঘরে নাবালিকাকে একাধিকবার যৌন নির্যাতন করা হয়। পালানোর চেষ্টা করেও পারেনি সে। কিছুক্ষণ পর সুযোগ বুঝে কোনওক্রমে পালিয়ে বাড়ি ফিরে আসে নির্যাতিতা।

পরিবারের সন্দেহ ও পুলিশের পদক্ষেপ:
বাড়ি ফিরে অসুস্থ ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়া মেয়েকে দেখে সন্দেহ হয় পরিবারের। চেপে ধরতেই ঘটনার কথা জানায় নির্যাতিতা। রাতেই দমদম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় পুলিশ, গ্রেপ্তার করে তিন অভিযুক্তকে, যাদের মধ্যে এক জন টোটোচালকও রয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য ও তদন্তের অগ্রগতি:
পুলিশ জানিয়েছে, “অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে। প্রমাণ মিললে কঠোরতম আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় অপরাধপ্রবণতা রুখতে রাতের টহলদারি আরও জোরদার করা হোক।
সমাজে ক্ষোভ, শাস্তির দাবি:ঘটনার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে দমদমের কমলাপুর ও মতিলাল কলোনি এলাকা। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, “ওরা যেন আর কোনো মেয়ের জীবন নষ্ট না করতে পারে—সবচেয়ে কঠোর শাস্তি হোক।” মানবাধিকার সংগঠনগুলোও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট ও বিশেষ আদালতে বিচার চেয়েছে।

বন্ধুর হাত ধরেই নরকযন্ত্রণায়! কমলাপুর পার্ক থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় মতিলাল কলোনির এক ঝুপড়িতে, ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ল এলাকা











