শুকনো ফল-পাতার অনন্য প্রতিমা : হাবড়ায় তৈরি হচ্ছে নজরকাড়া দুর্গা প্রতিমা। দেশি-বিদেশি গাছের শুকনো ফুল, ফল, ছাল, পাতা ও শিকড় দিয়ে গড়া হচ্ছে দেবীর রূপ। এই প্রতিমা কেবল শিল্পকলা নয়, পরিবেশ সচেতনতার এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তাও বহন করছে।
পরিবেশবান্ধব ভাবনায় শিল্পীর প্রয়াস
শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার জানিয়েছেন, “প্রকৃতির দেওয়া উপাদান দিয়েই দেবীকে সাজানো হচ্ছে। আমাদের বার্তা—উৎসব হোক পরিবেশবান্ধব।” সোমবার প্রতিমাটি পৌঁছে যাবে কোচবিহার সদর শহরের খাগড়াবাড়ি সর্বজনীন শারোদৎসব নাট্যসংঘের প্যান্ডেলে।
অভিনবত্বে খ্যাত ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার
বাণীপুরের এই শিল্পী বহু বছর ধরেই অভিনব প্রতিমা নির্মাণের জন্য খ্যাত। কখনও রুপো-মুক্তো, কখনও বা অব্যবহার্য সামগ্রী দিয়ে গড়েছেন দুর্গার রূপ। এবারের প্রতিমাতেও মিলবে সেই সৃজনশীলতার ছাপ।
উপকরণের অভিনব ব্যবহার
দেবীর মুখে রয়েছে বেলের মালা, চুল তৈরি হয়েছে ফুলকপির শিকড় দিয়ে। কোমরের বিছে সাজানো হয়েছে ঘাসফুলে। শাড়ি ও নখে ব্যবহার হয়েছে পেঁপে গাছের ছাল, আখরোট ফুল, পাইন ফল, অস্ট্রেলিয়ার পিনুক গাছের পাপড়ি ও পামছাল। চালচিত্র বানানো হয়েছে সিম দিয়ে, চালি কৎবেল দিয়ে এবং বেদি সাজানো হয়েছে তালপাতা ও ইউরোপ-দক্ষিণ এশিয়ার ডুমুর ফল দিয়ে।
প্রতিমার উচ্চতা ও থিম
শিল্পীর কথায়, দুর্গার উচ্চতা সাড়ে ১১ ফুট, চওড়া সাড়ে ৭ ফুট। অন্যান্য দেবদেবীর উচ্চতা প্রায় ৭ ফুট। এবারের থিম—‘কাল্পনিক স্বর্ণমন্দির’। প্যান্ডেলও সাজানো হচ্ছে সেই অনুযায়ী। তবে বিশেষত্ব হল, কারও হাতে অস্ত্র নেই, সকলেই অভয় দান করছেন।
উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় তৈরি হচ্ছে অনন্য দুর্গা প্রতিমা। শুকনো ফুল, ফল, ছাল, পাতা, এমনকি শিকড় দিয়েই গড়া হচ্ছে দেবী। শিল্পী ইন্দ্রজিৎ পোদ্দার পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিতে এই অভিনব প্রয়াস নিয়েছেন। প্রতিমাটি কোচবিহারের খাগড়াবাড়ি সর্বজনীন শারোদৎসবে পূজিত হবে।