দিল্লি পুলিশ ক্রাইম ব্রাঞ্চ কাটরু হোসেনের ফরাশ খানার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬৪,৩০০ নিষিদ্ধ সিগারেট উদ্ধার করেছে। এই অভিযানে উবৈশ সিদ্দিকী এবং আব্দুল কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে COTPA আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নতুন দিল্লি সংবাদ: দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ ১৫ সেপ্টেম্বর কাটরু হোসেন, ফরাশ খানার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬৪,৩০০ নিষিদ্ধ সিগারেট উদ্ধার করেছে। এই অভিযানে উবৈশ সিদ্দিকী (২২) এবং আব্দুল কালাম (১৯) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিগারেটগুলি বিদেশী থেকে সতর্কীকরণ বার্তা ছাড়া প্যাকেট আমদানি করা হয়েছিল এবং অভিযুক্তদের সাথে আনসের গুদাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফরাশ খানায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রাপ্তি
ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যান্টি-এক্সটর্সন এবং কিডন্যাপিং সেল গতকাল দুপুরে খবর পায় যে সেন্ট্রাল দিল্লির কাটরু হোসেন, ফরাশ খানার এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ সিগারেট সরবরাহ করা হচ্ছে। খবরটি অবিলম্বে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয় এবং একটি দলকে অভিযানের জন্য পাঠানো হয়।
একটি গুপ্তচরের নির্দেশনায় দলটি এলাকায় উপস্থিত ছিল। ঠিক সেই সময়, দুটি লোক আলাদা আলাদা স্কুটারে আসে, যার মধ্যে একটি স্কুটারে একটি বড় কার্টন রাখা ছিল। পুলিশ অবিলম্বে ব্যবস্থা নিয়ে স্কুটির চালকদের থামায়।
স্কুটি থেকে ২০,০০০ সিগারেট উদ্ধার
স্কুটিতে থাকা কার্টন তল্লাশি করে ২০,০০০ নিষিদ্ধ সিগারেট উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর উবৈশ সিদ্দিকী এবং আব্দুল কালামের নাম সামনে আসে, যারা আনসের জন্য এই সিগারেট সরবরাহ করছিল।
পুলিশ অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আনসের গুদামে নিয়ে যায়। এই অভিযানে জানা যায় যে আনস লাজপত নগর এলাকায় থাকে এবং এই সরবরাহ নেটওয়ার্কের প্রধান।
গুদাম থেকে আরও ৪৪,৩০০ সিগারেট উদ্ধার
অভিযানের সময় পুলিশ আনসের গুদামে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৪৪,৩০০ অতিরিক্ত নিষিদ্ধ সিগারেট উদ্ধার করা হয়। এই অভিযানে উবৈশ সিদ্দিকী (২২) এবং আব্দুল কালাম (১৯) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে COTPA আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ এখন আনসের সন্ধান করছে এবং এই অবৈধ সরবরাহ থেকে কারা সিগারেট কিনছিল তা জানার চেষ্টা করছে।
প্যাকেটে সরকারি সতর্কতা ছিল না
উদ্ধার করা সিগারেটগুলিতে ভারত সরকারের সতর্কতা বার্তা ছিল না। এই সিগারেটগুলি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল এবং নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছিল। পুলিশ এটিকে একটি গুরুতর অপরাধ হিসাবে গণ্য করে এবং অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
কর্মকর্তাদের মতে, এই ধরনের অবৈধ ব্যবসার উপর নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য এই অভিযান একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।