ওজন কমানো বা পেটের মেদ ঝরানো নিয়ে চিন্তায় আছেন? এখন আর দরকার নেই কঠিন ব্যায়াম বা নিষ্ঠুর ক্র্যাশ ডায়েটের। ডায়াটেশিয়ান সাকিনা মুসতানি সম্প্রতি তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন, যদি নিয়ম করে রোজের রুটিনে তিনটি ছোট পরিবর্তন আনা যায়, তবে মাত্র ২ সপ্তাহে (What) দৃশ্যমান ফল মিলবে। এই সহজ অভ্যাসগুলির প্রয়োগে (Why) হজমক্ষমতা বাড়বে, গ্যাস ও ফাঁপাভাব কমবে এবং শরীরের চর্বি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

সন্ধে সাতটার মধ্যে রাতের খাবার সারুন
সাকিনার মতে, রাতে শরীরের বিপাক হার কমে যায়, ফলে দেরিতে খেলে খাবার হজম হয় না। সন্ধে সাতটার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করলে শরীর বিশ্রাম পায়, ইনসুলিনের মাত্রা স্থিতিশীল থাকে এবং পেটের চর্বি জমতে পারে না।রাতে কার্বোহাইড্রেট না খাওয়াই শ্রেয়— এতে শরীরে চর্বি-সংরক্ষণ হরমোন নিয়ন্ত্রণে থাকে ও সকালে ভারীভাব বা অস্বস্তি থাকে না। এই অভ্যাস শুধু ওজন কমায় না, ঘুমের মানও বাড়ায়।
খাওয়ার পর অন্তত ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন
রাতের খাবারের পর হালকা হাঁটাহাঁটি করলে হজম ভালো হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ঘন ঘন খাওয়ার ইচ্ছা কমে, ক্যালোরি দ্রুত পোড়ে এবং শরীরের বিপাক হার উন্নত হয়।ডায়াটেশিয়ানের মতে, নিয়মিত ২০ মিনিট হাঁটা শরীরের ফ্যাট বার্নিং প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, ফলে ১৪ দিনের মধ্যেই ওয়েস্টলাইন কমতে শুরু করে।

রাতে ঘুমানোর আগে হার্বাল চা খান
হার্বাল চা শুধু রিল্যাক্সই করে না, শরীরের প্রদাহজনিত সমস্যা কমায় ও হজমে সাহায্য করে। সাকিনা পরামর্শ দেন, আধ চা-চামচ করে মৌরি, জিরে, জোয়ান মিশিয়ে ১ কাপ গরম জলে ফুটিয়ে তাতে একটু আদা, হলুদ ও গোলমরিচ মেশাতে।এই চা হজমশক্তি বাড়ায়, পেট ফাঁপার সমস্যা কমায় এবং সকালে পেট ফ্ল্যাট রাখে।
ফ্ল্যাট টামির পথে মানসিক ভারসাম্যও জরুরি
সাকিনা মুসতানি জোর দিয়ে বলেছেন— ওজন কমানোর মূল চাবিকাঠি হলো নিয়মিত ঘুম, মানসিক শান্তি ও ধারাবাহিকতা। অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা অল্প ঘুম হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে, যার ফলে চর্বি জমে। তাই জীবনযাত্রায় সামঞ্জস্যই আসল অস্ত্র।

ডায়াটেশিয়ান ও ওয়েট লস কোচ সাকিনা মুসতানি জানালেন, ক্র্যাশ ডায়েট বা কড়া জিম রুটিন ছাড়াই মাত্র ২ সপ্তাহে কমানো সম্ভব পেটের অতিরিক্ত চর্বি। রোজের জীবনে ৩টি সহজ অভ্যাস গড়ে তুললেই মিলবে হজমের উন্নতি ও দৃশ্যমান ফ্ল্যাট টামি।










