সোনার ক্রমাগত বাড়তে থাকা দামে বৃহস্পতিবার, ২৫শে সেপ্টেম্বরে বিরতি এসেছে। দেশে সোনা এখন প্রতি ১০ গ্রামে ১,১৩,১২০ টাকা এবং রুপো প্রতি কিলোগ্রামে ১,৩৩,৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমেরিকায় সম্ভাব্য সুদের হার হ্রাস, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং উৎসবের চাহিদা এর প্রধান কারণ।
Gold Price Today: উৎসবের মরসুম এবং আমেরিকায় সম্ভাব্য সুদের হার হ্রাসের আশার মধ্যে সোনার দাম বৃহস্পতিবার, ২৫শে সেপ্টেম্বর কমেছে। ইন্ডিয়ান বুলিয়ন অ্যাসোসিয়েশন (Indian Bullion Association) অনুসারে সোনা প্রতি ১০ গ্রামে ১,১৩,১২০ টাকা এবং রুপো প্রতি কিলোগ্রামে ১,৩৩,৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, কলকাতা এবং চেন্নাইতে সোনার নতুন দামে সামান্য পতন রেকর্ড করা হয়েছে, যদিও বিনিয়োগকারীদের প্রবণতা এখনও সোনার প্রতি শক্তিশালী রয়েছে।
সোনার দাম কমার কারণ
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, সোনার দাম কমার প্রধান কারণ হল বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ইঙ্গিত। আমেরিকায় ফেডেরাল রিজার্ভের সম্ভাব্য সুদের হার কমানোর ঘোষণার কারণে বিনিয়োগকারীদের সোনার প্রতি আগ্রহ বেড়েছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক ট্রেডিং সেশনে কিছু প্রযুক্তিগত বিক্রয় এবং ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে সোনার দামে চাপ এসেছে। কেডিয়া অ্যাডভাইজরি (Kedia Advisory)-এর সিনিয়র রিসার্চ অ্যানালিস্ট অমিত গুপ্তা বলেছেন যে, আমেরিকান চাকরির বাজারের ঝুঁকি এবং নীতি সংক্রান্ত সতর্কবার্তা বিনিয়োগকারীদের অনুভূতিকে প্রভাবিত করেছে।
এছাড়াও, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা সোনার দামে ওঠানামার প্রধান কারণ হিসাবে রয়ে গেছে।
আপনার শহরের সোনার নতুন দর
দেশের প্রধান শহরগুলিতে আজ সোনার দাম নিম্নরূপ:
- দিল্লি: ১,১২,৭২০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম
- মুম্বই: ১,১২,৯১০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম
- বেঙ্গালুরু: ১,১৩,০০০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম
- কলকাতা: ১,১২,৭৬০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম
- চেন্নাই: ১,১৩,২৪০ টাকা প্রতি ১০ গ্রাম
চেন্নাইতে সোনার দর সবচেয়ে বেশি রেকর্ড করা হয়েছে।
রুপোর দাম
আজ দেশে রুপোর দর প্রতি কিলোগ্রামে ১,৩৩,৯৫০ টাকায় পৌঁছেছে। বুধবার রুপোর দর প্রতি কিলোগ্রামে ১,৩৪,৯৯০ টাকা ছিল। ২৪ ক্যারেট সোনা বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে কেনা হয়, যেখানে ২২ এবং ১৮ ক্যারেট গয়না তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
সোনার ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণ
উৎসবের মরসুম, বিবাহ এবং শুভ অনুষ্ঠানে সোনার চাহিদা বেড়ে যায়। ভারতে সোনা কেবল বিনিয়োগের মাধ্যমই নয়, এটি ঐতিহ্য এবং সাংস্কৃতিক বিশ্বাসের একটি অংশও। চাহিদা বাড়লে দামের উপর প্রভাব পড়ে।
এছাড়াও, যখন মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পায় বা শেয়ারবাজারে ওঠানামা হয়, তখন বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিকল্প হিসাবে সোনায় অর্থ বিনিয়োগ করেন। এই কারণেই সোনার দামে দীর্ঘ সময় ধরে স্থিতিশীলতা এবং ওঠানামা উভয়ই দেখা যায়।
সোনার দামকে প্রভাবিত করার কারণগুলি
ভারতে সোনার বেশিরভাগ অংশ আমদানি করা হয়। আমদানির উপর আরোপিত শুল্ক, জিএসটি (GST) এবং অন্যান্য স্থানীয় কর সরাসরি সোনার দামকে প্রভাবিত করে। এছাড়াও, বিশ্বব্যাপী সোনার দামের পরিবর্তন, ডলারের অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদাও দামকে প্রভাবিত করে।
বৈশ্বিক বাজারে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা, মুদ্রাস্ফীতি এবং বিনিয়োগকারীদের অনুভূতি সোনার দামে বৃদ্ধি বা হ্রাস আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।