বিহারের হাজিপুরে 'আই লাভ মুহাম্মদ' পোস্টার বিতর্কে যুবককে মারধর, পুলিশ মোতায়েন

বিহারের হাজিপুরে 'আই লাভ মুহাম্মদ' পোস্টার বিতর্কে যুবককে মারধর, পুলিশ মোতায়েন

বিহারের হাজিপুরে 'আই লাভ মুহাম্মদ' পোস্টার বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টার লাগানোর জন্য যুবককে স্থানীয়রা ধরে মারধর করে, যার পর পুলিশ হস্তক্ষেপ করে যুবককে হেফাজতে নেয় এবং এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে।

হাজিপুর: বিহারের হাজিপুর জেলায় 'আই লাভ মুহাম্মদ' পোস্টার বিতর্ক নতুন মাত্রা নিয়েছে। নগর থানা এলাকার জঢ়ুয়া অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বাড়ির দেওয়ালে সাঁটানো পোস্টার দেখে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। দেখতে দেখতে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে এবং পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে হয়।

পোস্টার লাগানোর জন্য যুবকের মারধর

ঘটনাটি শনিবার গভীর রাতের বলে জানা গেছে, যখন জঢ়ুয়া টোলে একজন যুবক বাড়ির দেওয়ালে 'আই লাভ মুহাম্মদ' এবং অন্যান্য স্লোগান লেখা পোস্টার সাঁটিয়েছিল। রবিবার সকালে স্থানীয়দের নজর এই পোস্টারগুলির উপর পড়তেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ এটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতি খারাপ করার চেষ্টা বলে মনে করে।

স্থানীয়রা পোস্টার সাঁটানো যুবককে ধরে ফেলে এবং তাকে মারধর করে। ক্ষুব্ধ মানুষেরা বলেন যে, এই ধরনের পোস্টারের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার চেষ্টা করা হয়েছে। এর ফলে এলাকায় একটি উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

পুলিশ যুবককে ভিড় থেকে উদ্ধার করে

ঘটনার খবর পেয়ে নগর থানার পুলিশ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশ যুবককে ভিড়ের কবল থেকে উদ্ধার করে এবং তাকে হেফাজতে নেয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ এলাকায় ব্যাপক সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে।

এসডিপিও জানিয়েছেন যে, উত্তেজনা ছড়ানো বন্ধ করতে পুলিশ এলাকায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসডিপিও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন

সদর এসডিপিও সুবোধ কুমার নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি নির্দেশ দেন যে পুলিশ শিবির বজায় রাখবে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে অবিরাম নজরদারি করবে।

এসডিপিও আরও বলেছেন যে, পোস্টার সাঁটানো যুবকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে further তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।

ঘটনা নিয়ে সমাজের উদ্বেগ ও আবেদন

স্থানীয় সমাজ এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অনেক নাগরিক প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে, এলাকায় ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য এ ধরনের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। তারা বলেছেন যে, যেকোনো ধরনের উস্কানিমূলক বার্তা সামাজিক শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে।

পুলিশও সতর্ক করেছে যে, ভবিষ্যতে কোনো ব্যক্তি দ্বারা এই ধরনের পোস্টার বা বার্তা ছড়ানো হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসন স্থানীয় জনগণের কাছে আবেদন করেছে যে, তারা শান্তি বজায় রাখুন এবং কোনো গুজবে কান না দেন।

Leave a comment