মহারাষ্ট্রের অহিল্যানগরে 'আই লাভ মহম্মদ' রঙোলি বিতর্কে উত্তেজনা, আটক ৩০

মহারাষ্ট্রের অহিল্যানগরে 'আই লাভ মহম্মদ' রঙোলি বিতর্কে উত্তেজনা, আটক ৩০

মহারাষ্ট্রের অহিল্যানগরে 'আই লাভ মহম্মদ' লেখা একটি রঙোলি নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ হালকা বল প্রয়োগ করে ভিড় ছত্রভঙ্গ করেছে এবং ৩০ জনকে আটক করেছে। দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

মুম্বাই: মহারাষ্ট্রের অহিল্যানগরে 'আই লাভ মহম্মদ' লেখা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের ঘটনা শহরে উত্তেজনা তৈরি করেছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি রাস্তায় এই বার্তা লিখে মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। ক্ষুব্ধ মানুষের ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে হালকা বল প্রয়োগ করতে হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং গুজব এড়িয়ে চলার আবেদন জানানো হয়েছে।

রঙোলি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, অহিল্যানগরের কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি একটি পাবলিক প্লেসে 'আই লাভ মহম্মদ' লেখা একটি রঙোলি তৈরি করেছিল। এটি দেখে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষুব্ধ হয় এবং তারা বড় সংখ্যায় শহরের থানা প্রাঙ্গণের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।

পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয় এবং প্রভাবিত এলাকায় মোতায়েন করা দলের মাধ্যমে ভিড়কে শান্ত করার চেষ্টা করে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই বিতর্কে জড়িত কিছু লোককে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনতে বল প্রয়োগ

ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কিছু জায়গায় হালকা বল প্রয়োগ করতে হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছেন।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। যদিও, ভিড়ে উপস্থিত কিছু অরাজক উপাদান গোলমাল চালিয়ে যাচ্ছিল। গুজব ছড়ানো বন্ধ করতে এবং শান্তি বজায় রাখতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

৩০ জনের গ্রেপ্তার

পুলিশ এখন পর্যন্ত মোট ৩০ জনকে আটক করেছে। এই ব্যক্তিদের পরিচয় এবং মামলায় তাদের ভূমিকা তদন্তাধীন রয়েছে। কর্মকর্তারা নাগরিকদের কাছে আবেদন করেছেন যে তারা যেন গুজবে কান না দেন এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহযোগিতা করেন।

পাশাপাশি, শহরে পুলিশের তল্লাশি ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যান চলাচল এবং জনবহুল স্থানে পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো যায়।

Leave a comment