দুর্গা পুজো ও লক্ষ্মী পুজোর পর, সামনে হাত নেড়ে কালীপুজো, দিওয়ালি ও ভাইফোঁটা আসছে। এই সময় নিজের শরীরকে আবার সুস্থ, ফিট ও চাঙ্গা করে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিভে রাশ না টানলে কোনও কাজ সম্ভব নয়। সেই কারণেই এই প্রতিবেদনে রইল হেলদি অথচ সুস্বাদু কয়েকটি ব্রেকফাস্ট রেসিপি। এগুলি রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে, হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে।
পোহা
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম: রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে।
উচ্চ ফাইবার: মটরশুঁটি, গাজর, ক্যাপসিকাম দিয়ে পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়।
ভিটামিন সি ও প্রোটিন: লেবুর রস এবং চিনাবাদাম ছড়িয়ে উপকার বৃদ্ধি।
বেসনের চিলা
প্রোটিন সমৃদ্ধ: ছোলার ডাল দিয়ে তৈরি, ডায়াবেটিস রোগীর জন্য আদর্শ।
ফাইবার: হজম ভালো রাখে এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
নিরাপদ কার্ব: রিফাইনড কার্বোহাইড্রেট থাকে না।
ইডলি-সম্বর
ফারমেন্টেড খাবার: হজমশক্তি ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি।
প্রোটিন তৃপ্তি: ডালের প্রোটিন সরবরাহ বৃদ্ধি করে।
গ্লুকোজ শোষণ কমায়: রক্তে শর্করার দ্রুত বৃদ্ধি প্রতিরোধ।
মুগ ডালের চিলা পনিরের ফিলিংসহ
কম কার্ব, বেশি প্রোটিন: রক্তে শর্করা বাড়তে দেয় না।
দীর্ঘক্ষণ পেট ভরানো: সকালের শক্তি সরবরাহে পারফেক্ট।
স্বাস্থ্যকর: ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও উপযোগী।
ডালিয়া বাদাম ও বীজসহ
গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম: ধীরে ধীরে শক্তি সরবরাহ।
প্রোটিন ও ফাইবার: আমন্ড, চিয়া বীজ ও দুধ/দই মিশিয়ে আরও পুষ্টি।
চিনি মুক্ত: স্বাস্থ্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী ব্রেকফাস্ট।
ফিট ও সুস্থ থাকতে আজকের গুরুত্বপূর্ণ হল ডায়েট। পোহা, বেসনের চিলা, ইডলি-সম্বর, মুগ ডালের চিলা ও বাদাম-বীজ ডালিয়া—এই সব হেলদি ব্রেকফাস্ট রেসিপি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, প্রোটিন ও ফাইবার সরবরাহ করে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরায়। খেলে চেহারাও থাকে সতেজ ও উজ্জ্বল।