শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাব ক্লান্তি এবং মাথা ঘোরার মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটি দূর করতে বিট, ডালিম, লাল পালং শাক, ডাল ও শিম, বাদাম এবং বীজ জাতীয় নিরামিষ খাবার সহায়ক। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফলের সাথে এই খাবারগুলো খেলে আয়রন শোষণ বাড়ে এবং শরীরে রক্তের মাত্রা দ্রুত উন্নত হয়।
হিমোগ্লোবিন লেভেল: আপনি যদি সারাদিন ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট বা মাথা ঘোরার মতো সমস্যা অনুভব করেন, তবে এটি শরীরে হিমোগ্লোবিনের অভাবের লক্ষণ হতে পারে। হিমোগ্লোবিন হলো লোহিত রক্ত কণিকার প্রধান উপাদান, যা শরীরে অক্সিজেন বহন করে। এটি বাড়ানোর জন্য আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় বিট, ডালিম, লাল পালং শাক, ডাল ও শিম, বাদাম এবং বীজ জাতীয় নিরামিষ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফলের সাথে এই খাবারগুলো খেলে আয়রন ভালোভাবে শোষিত হয়, যার ফলে শরীরে রক্তের মাত্রা দ্রুত বাড়ে এবং শক্তি ফিরে আসে।
বিট: প্রাকৃতিক রক্ত বৃদ্ধিকারী
বিটকে প্রাকৃতিক রক্ত বৃদ্ধিকারী বলা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ফোলেট এবং পটাসিয়াম থাকে। এই সমস্ত পুষ্টি উপাদান লোহিত রক্ত কণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। বিট সালাদে, জুস হিসেবে বা সবজি রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন এটি খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা দ্রুত বাড়ে এবং শরীরে নতুন শক্তির সঞ্চার হয়।
ডালিম: রক্ত বৃদ্ধিতে সহায়ক
ডালিম কেবল দেখতে সুন্দর নয়, এটি রক্ত বৃদ্ধিতেও কার্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। ভিটামিন সি শরীরে আয়রন শোষণ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি ডালিম খাওয়া বা এর জুস পান করলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে এবং শরীরে শক্তির সঞ্চার হয়।
লাল পালং শাক: আয়রনের ভান্ডার
লাল পালং শাক, যা লাল শাক নামেও পরিচিত, আয়রনের একটি চমৎকার উৎস। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ফোলেটও থাকে, যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। ডাল বা সবজির সাথে পালং শাক খেলে শরীরে আয়রন ভালোভাবে শোষিত হয়। এটি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার মতো একটি সুপারফুড।
ডাল ও শিম: প্রোটিন ও আয়রনের মিশ্রণ
রাজমা, মসুর, ছোলা এবং মটরশুঁটি কেবল প্রোটিনেরই নয়, আয়রনেরও চমৎকার উৎস। নিরামিষাশীদের জন্য এগুলি সেরা বিকল্প। ডাল অঙ্কুরিত করে সালাদে বা তরকারি হিসেবে খেলে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বাদাম ও বীজ: খনিজ পদার্থের পাওয়ারহাউস
কুমড়োর বীজ, তিল, কিশমিশ এবং খেজুর আয়রন, কপার এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। এগুলি শরীরে হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সহায়ক। প্রতিদিন এক মুঠো ভাজা কুমড়োর বীজ বা ভিজিয়ে রাখা বাদাম খেলে শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়ে এবং শক্তি বজায় থাকে।
ভিটামিন সি এর সাথে আয়রন গ্রহণ
আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সাথে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। লেবু, কমলা বা আমলকীর মতো ফল খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে আয়রন শোষণ উন্নত হয় এবং হিমোগ্লোবিনের মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।