হিমাচল প্রদেশে 'জব ট্রেনি' পরিকল্পনা চালু করা নিয়ে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। বিরোধী দলনেতা জয়রাম ঠাকুর এই পরিকল্পনাকে রাজ্যের যুবকদের প্রতি অবিচার বলে অভিহিত করে সুখু সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, কংগ্রেস নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে যুবকদের লক্ষ লক্ষ চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর এই ধরনের পরিকল্পনা চাপিয়ে দিয়ে যুবকদের আশা ভঙ্গ করছে।
সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন
জয়রাম ঠাকুর বলেন, সুখু সরকারের নীতিগুলি ক্রমাগত যুব-বিরোধী প্রমাণিত হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, সরকার ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই চাকরি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করতে শুরু করে এবং ২৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে দুই বছর ধরে খালি থাকা সমস্ত পদ বাতিল করে দেয়, যার ফলে রাজ্যে দেড় লক্ষেরও বেশি চাকরির সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। ঠাকুর বলেন, সরকার তাদের ঘনিষ্ঠজনদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য নানা পথ বের করে, কিন্তু যখন যুবকদের অধিকার দেওয়ার বিষয় আসে, তখন পিছিয়ে যায়।
কর্মচারী নির্বাচন কমিশন এখন লোক দেখানো
কর্মচারী নির্বাচন কমিশন পুনর্বহাল করা নিয়েও জয়রাম ঠাকুর সরকারের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, কমিশনকে দুই বছর পর পুনর্বহাল করা হলেও, আজও সেটি সম্পূর্ণরূপে কার্যক্ষম নয়। পরীক্ষার তারিখও নির্ধারিত নয়, কোনো ठोस ব্যবস্থাও নেই। এটা খুবই দুঃখজনক যে, যে সরকার কর্মসংস্থান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে, এখন তারাই যুবকদের শুধু আশ্বাস দিচ্ছে।
নিয়ম পরিবর্তনে বেড়েছে অসন্তোষ
ঠাকুর আরও অভিযোগ করেন যে, সরকার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিজেদের খেয়ালখুশি মতো পরিবর্তন করেছে। আগে দুই বছরের চুক্তি সম্পন্নকারীদের বছরে দু'বার নিয়মিত করা হতো, কিন্তু এখন এই নিয়মও পরিবর্তন করা হয়েছে। পাশাপাশি 'জব ট্রেনি' নীতি চালু করে কর্মচারীদের চুক্তির মেয়াদকালই শেষ করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছে।
বিরোধী দলনেতা সরকারকে তাদের নীতিগুলি পুনর্বিবেচনা করে জনস্বার্থে কাজ করার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এটিই প্রথম সরকার, যারা মানুষকে সুবিধা দেওয়ার পরিবর্তে তাদের থেকে সুবিধা কেড়ে নিতে উদ্যত হয়েছে।