নগদ কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা সুপ্রিম কোর্টে ইন-হাউস কমিটির রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। প্রধান বিচারপতি দ্রুত শুনানির জন্য আলাদা বেঞ্চ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
Justice Yashwant Varma Case: এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছেন, যেখানে তিনি তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এই রিপোর্টে তাকে কথিত নগদ কেলেঙ্কারিতে অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। মামলার গুরুত্ব বিবেচনা করে তিনি দ্রুত শুনানির আবেদন করেছেন।
সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত শুনানির আবেদন
বিচারপতি ভার্মা সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুরোধ করেছেন, যাতে এই পিটিশনের দ্রুত শুনানি করা হয়। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুতর এবং সাংবিধানিক প্রকৃতির মামলা। সুপ্রিম কোর্টে তার আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রধান বিচারপতি (সিজেআই) বি আর গাভাইয়ের কাছে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন। তিনি যুক্তি দেন যে, এই পিটিশনে বেশ কয়েকটি সাংবিধানিক প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।
প্রধান বিচারপতির সম্মতি
CJI বি আর গাভাই কপিল সিব্বলের আবেদনে সম্মতি জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে তিনি একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠন করবেন, যা এই মামলার শুনানি করবে। সুপ্রিম কোর্টের সামনে তিনি এই ঘোষণা করেন, যেখানে বিচারপতি বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচিও উপস্থিত ছিলেন।
পিটিশনের উদ্দেশ্য: তদন্ত রিপোর্ট এবং অভিশংসনের সুপারিশকে চ্যালেঞ্জ
বিচারপতি ভার্মার পিটিশনের উদ্দেশ্য হল সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না কর্তৃক দেওয়া সেই সুপারিশ বাতিল করা, যেখানে তার বিরুদ্ধে সংসদ থেকে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলা হয়েছিল। এই সুপারিশ একটি ইন-হাউস তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে করা হয়েছিল, যেখানে বিচারপতি ভার্মাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল।
তদন্ত কমিটির প্রক্রিয়া ও निष्कर्ष
এই ইন-হাউস তদন্ত কমিটি পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগুর अध्यक्षताয় গঠিত হয়েছিল। কমিটি ১০ দিন ধরে এই মামলার তদন্ত করে। তদন্তের সময় ৫৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয় এবং যেখানে নগদ কেলেঙ্কারি হয়েছিল, সেই স্থান পরিদর্শন করা হয়।
ঘটনাটি ১৪ মার্চ রাত প্রায় ১১:৩৫ মিনিটের, যখন বিচারপতি ভার্মা দিল্লি হাইকোর্টে কর্মরত ছিলেন এবং তার সরকারি বাসভবনে হঠাৎ আগুন লাগে। আগুন লাগার পর ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা উদ্ধার হওয়ার কথা জানা যায়।
রিপোর্টে আনা গুরুতর অভিযোগ
তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বিচারপতি ভার্মার আচরণ সন্দেহজনক ছিল। তার সরকারি বাসভবন থেকে নগদ টাকা উদ্ধার এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে কমিটি তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। এর ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট সংসদকে তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রক্রিয়া শুরু করার সুপারিশ করেছিল।
সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি ভার্মার পিটিশন
বর্তমানে বিচারপতি ভার্মা এলাহাবাদ হাইকোর্টে কর্মরত আছেন। তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এবং তার পিটিশনে এই তদন্ত প্রক্রিয়া ও এর निष्कर्षগুলোকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। তিনি বলেন যে, তদন্ত প্রক্রিয়া পক্ষপাতদুষ্ট ছিল এবং এতে তার সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।