টিএমসি সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে বাঙালিদের অপমান এবং জোর করে বাংলাদেশে পাঠানোর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি গুজরাতিদের দেশে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টার অভিযোগও করেছেন।
TMC vs BJP: তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)-এর বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন। দিল্লিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সারা দেশে, বিশেষ করে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের অপমান করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন যে এই রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে এবং অনেককে জোর করে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
ঐতিহাসিক অবদানের উল্লেখ করে বিজেপির প্রতি তোপ
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গুজরাটের কিছু লোক দেশের উপর তাদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালিদের অগ্রণী ভূমিকা ছিল, যেখানে সেই সময় গুজরাটের উপস্থিতি সীমিত ছিল। তিনি বলেন, আজ বিজেপির নেতৃত্বে এমন প্রচেষ্টা চলছে যাতে বাঙালিদের দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে।
"বাঙালিরা সবসময় দেশের মেরুদণ্ড। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালিদের অবদান কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলো আমাদের বাংলাদেশি বলে বের করে দিতে চায়। এটা শুধু অপমান নয়, ঐতিহাসিক সত্যেরও অপমান," বলেন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংসদে হট্টগোল, টিএমসি ও অন্যান্য বিরোধী দলের বিক্ষোভ
বুধবার লোকসভা ও রাজ্যসভা উভয় কক্ষেই তুমুল হট্টগোল হয়। বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী (Special Intensive Revision - SIR) ইস্যুতে বিরোধী দলগুলি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ায়। অধিবেশন শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিরোধী সাংসদরা স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর জেরে কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায়।
বিহারের ভোটার তালিকা পুনর্বিবেচনা নিয়ে প্রশ্ন
টিএমসি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তাদের ধারণা, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিজেপি তাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য ভোটার ডেটা ম্যানিপুলেট করছে। এই ইস্যুতেই সংসদের উভয় কক্ষে বিক্ষোভ হয়।
লোকসভার স্পিকারের কড়া মন্তব্য
লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বিরোধী সাংসদদের আচরণ নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সংসদ প্ল্যাকার্ড ও স্লোগানের জন্য নয়, আলোচনা ও বিতর্কের জন্য। বিড়লা হুঁশিয়ারি দেন যে এই ধরনের আচরণ চলতে থাকলে সংশ্লিষ্ট সাংসদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, "দেশ আপনাদের আচরণ দেখছে। আমাদের শালীনতা বজায় রাখা উচিত।"
ক্রীড়ামন্ত্রী পেশ করলেন 'জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল'
হট্টগোলের মধ্যেই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য 'জাতীয় ক্রীড়া প্রশাসন বিল, ২০২৫' (National Sports Governance Bill, 2025) লোকসভায় পেশ করেন। এই বিল দেশের ক্রীড়া সংস্থাগুলির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আনা হয়েছে। যদিও, বিরোধীদের প্রতিবাদের কারণে এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব হয়নি।