আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ ২০২৫ ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে এবং এই টুর্নামেন্ট ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছে। আইসিসি ঘোষণা করেছে যে এই বিশ্বকাপে মহিলা ম্যাচ কর্মকর্তাদের একটি সম্পূর্ণ প্যানেল থাকবে, যা খেলার ইতিহাসে প্রথমবার ঘটছে।
স্পোর্টস নিউজ: আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ ২০২৫-এর সূচনা হতে চলেছে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে। আইসিসি এই টুর্নামেন্টে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ হিসেবে ঘোষণা করেছে যে এই প্রথমবার শুধুমাত্র মহিলা ম্যাচ অফিসিয়ালরাই ম্যাচ পরিচালনার প্যানেলের অংশ হবেন। এর আগেও বার্মিংহামে ২০২২ কমনওয়েলথ গেমস এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দুটি আইসিসি মহিলা টি২০ বিশ্বকাপেও মহিলা ম্যাচ কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু এই বিশ্বকাপে এটিই প্রথম সুযোগ হবে যেখানে সম্পূর্ণ প্যানেলে শুধুমাত্র মহিলারাই থাকবেন।
মহিলা ম্যাচ কর্মকর্তাদের প্যানেল
এইবার মহিলা বিশ্বকাপে মোট ১৪ জন আম্পায়ার এবং ৪ জন ম্যাচ রেফারি অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেক অভিজ্ঞ এবং স্বনামধন্য নাম রয়েছে:
- আম্পায়ার প্যানেল (১৪ জন সদস্য)
- লরেন এজেনবাগ
- ক্যান্ডেস লা বোর্ডে
- কিম কটন
- সারা দাম্বানেওয়ানা
- শথিরা জাকির জেসি
- কেরিন ক্লাস্টে
- জানানি এন
- নিমালি পেরেরা
- ক্লেয়ার পোলোস্যাক
- বৃন্দা রাঠি
- সু রেডফার্ন
- এলয়েস শেরডন
- গায়ত্রী ভেনুগোপালন
- জ্যাকুলিন উইলিয়ামস
- ম্যাচ রেফারি প্যানেল (৪ জন সদস্য)
- ট্রুডি অ্যান্ডারসন
- শান্দ্রে ফ্রিটজ
- জিএস লক্ষ্মী
- মিশেল পেরেরা
এই প্যানেলে ক্লেয়ার পোলোস্যাক, জ্যাকুলিন উইলিয়ামস এবং সু রেডফার্ন তাদের তৃতীয় মহিলা বিশ্বকাপে অংশ নেবেন। অন্যদিকে লরেন এজেনবাগ এবং কিম কটন তাদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং করবেন। উল্লেখ্য যে ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার সপ্তম শিরোপা জয়ের সময় এই মহিলারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
আইসিসি সভাপতি জয় শাহের প্রতিক্রিয়া
আইসিসি সভাপতি জয় শাহ এই ঐতিহাসিক ঘোষণায় আনন্দ প্রকাশ করে বলেছেন, এটি মহিলা ক্রিকেটের যাত্রার একটি নির্ণায়ক মুহূর্ত। ম্যাচ কর্মকর্তাদের একটি মহিলা প্যানেল গঠন কেবল একটি বড় অর্জনই নয়, বরং ক্রিকেটে লিঙ্গ সমতা প্রচারে আইসিসি-র অঙ্গীকারের একটি শক্তিশালী প্রতীক।
তিনি আরও বলেছেন যে এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো দৃশ্যমানতা, সুযোগ এবং অর্থপূর্ণ রোল মডেল তৈরি করা যা আগামীর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারে। বিশ্ব মঞ্চে আম্পায়ারিংয়ে মহিলাদের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরে, আমরা এই বার্তা দিতে চাই যে ক্রিকেটে নেতৃত্ব এবং প্রভাবের ক্ষেত্রে কোনও লিঙ্গ ভেদাভেদ নেই।