আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর, অডিট হওয়াদের জন্য ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত

আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর, অডিট হওয়াদের জন্য ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত

আয়কর বিভাগ স্পষ্ট করেছে যে ২০২২৪-২৫ আর্থিক বছরের (মূল্যায়ন বছর ২০২৫-২৬) জন্য ITR ফাইলিংয়ের সময়সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর পরে বাড়ানো হবে না। তবে, নন-অডিট ট্যাক্সপেয়াররা সময়মতো জমা দিতে ব্যর্থ হলেও কিছু স্বস্তির সুযোগ পাবেন।

ITR ফাইলিংয়ের সময়সীমা: আয়কর বিভাগ সোমবার নিশ্চিত করেছে যে ২০২২৪-২৫ আর্থিক বছরের (মূল্যায়ন বছর ২০২৫-২৬) জন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থাকবে। বিভাগ জানিয়েছে যে সময়সীমা বাড়ানোর খবর ভুয়ো এবং করদাতাদের শুধুমাত্র আয়কর বিভাগের অফিসিয়াল চ্যানেলের উপর নির্ভর করা উচিত।

নন-অডিট ট্যাক্সপেয়ারদের জন্য শেষ সুযোগ

২০২২৪-২৫ আর্থিক বছরের (মূল্যায়ন বছর ২০২৫-২৬) জন্য নন-অডিট ট্যাক্সপেয়ারদের আজ, অর্থাৎ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। আয়কর বিভাগ পূর্বে ৩০ জুলাই-এর নির্ধারিত তারিখ বাড়িয়ে ৪৫ দিনের অতিরিক্ত সময় দিয়েছিল, কিন্তু এখন এর আর কোনো সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নেই।

যদি করদাতারা সময়সীমা অতিক্রম করে যান, তবে তাদের জরিমানা দিতে হতে পারে। তবে, বিশেষ পরিস্থিতিতে তাদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য বিভাগ একটি বিকল্প সক্রিয় করেছে। এই সুবিধাটি তাদের অপ্রয়োজনীয় জরিমানা থেকে রক্ষা করতে পারে।

অডিট করাদের জন্য এখনও স্বস্তি

যেসব করদাতাদের অ্যাকাউন্টের নিরীক্ষা (অডিট) প্রয়োজন, তাদের জন্য আলাদা সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ধরনের করদাতাদের ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। অন্যদিকে, ITR জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানি, প্রোপ্রাইটারশিপ এবং পার্টনারশিপ ফার্ম। আয়কর বিভাগ এখন পর্যন্ত এই তারিখগুলিতে কোনও পরিবর্তনের ঘোষণা করেনি, তাই অডিট বিভাগের করদাতাদেরও নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রস্তুতি নিতে হবে।

দেরি হলে মাফ পাওয়ার উপায়

নন-অডিট ট্যাক্সপেয়ারদের জন্য সবচেয়ে বড় স্বস্তি হল, যদি তারা কোনো কারণে আজ ITR জমা দিতে না পারে, তবে তাদের জন্য ই-ফাইলিং পোর্টালে "কন্ডোনেশন অফ ডিলে" (বিলম্বের মার্জনা) বিকল্পটি উপলব্ধ রয়েছে। এই সুবিধা ব্যবহার করে তারা জরিমানা না দিয়েই রিটার্ন জমা দিতে পারবে।

এই সুবিধা শুধুমাত্র সেইসব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যেখানে করদাতা সময়মতো ফাইল করতে না পারার পেছনে কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ বা প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারে। যেমন - অসুস্থতা, দুর্ঘটনা, পরিবারে মৃত্যু বা অন্য কোনো জরুরি অবস্থা। এই ধরনের ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগ প্রমাণ খতিয়ে দেখার পর জরিমানা মওকুফ করতে পারে।

প্রমাণ দেওয়া বাধ্যতামূলক

দেরি মার্জনা সুবিধার সুবিধা পেতে করদাতাকে পর্যাপ্ত নথি জমা দিতে হবে। যদি বিভাগ কারণ এবং প্রমাণ সন্তোষজনক মনে করে, তবে করদাতা মূল্যায়ন বছরের শেষ পর্যন্ত জরিমানা ছাড়াই ITR ফাইল করতে পারবে।

তবে, এই সুবিধা শুধুমাত্র ব্যতিক্রমী পরিস্থিতির জন্য। যেসব করদাতার কাছে কোনো প্রমাণ থাকবে না, তাদের জরিমানা দিতে হবে। তাই বিভাগ স্পষ্ট করেছে যে সময়মতো ITR জমা দেওয়াই সবচেয়ে ভালো এবং নিরাপদ বিকল্প।

Leave a comment