ग्वालियरে কানওয়ার যাত্রা চলাকালীন দ্রুতগতির একটি গাড়ি তীর্থযাত্রীদের পিষে দিলে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, ২ জন গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। ক্ষুব্ধ জনতা রাস্তা অবরোধ করে প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।
IndIa or Pakistan: ভারত আবারও পাকিস্তানকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে তাদের বেসামরিক ও সামরিক বিমানগুলোর ভারতীয় আকাশ সীমায় প্রবেশের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ২০২৩ সালের ২৩শে আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র কূটনৈতিক স্তরে চাপ সৃষ্টি করাই নয়, এটি জাতীয় নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় নীতির অংশ। এই সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে এসেছে যখন অপারেশন সিন্দুরের পরে পাকিস্তান বারবার যুদ্ধবিরতির জন্য আবেদন করেছে।
নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হল, NOTAM আপডেট করা হয়েছে
ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা অসামরিক বিমান পরিবহন এবং সমবায় প্রতিমন্ত্রী মুরলীধর মাহোল X (পূর্বে টুইটার) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছেন: 'আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞার উপর আপডেট: পাকিস্তানি বিমানগুলোর ভারতীয় আকাশ সীমায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা নোটিস টু এয়ারমেন (NOTAM) এখন ২০২৩ সালের ২৩শে আগস্ট পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এই সিদ্ধান্তটি কৌশলগত এবং নিরাপত্তা উভয় দৃষ্টিকোণ থেকে জরুরি।'
সন্ত্রাসী হামলা থেকে অপারেশন সিন্দুর পর্যন্ত
এই ঘটনার সূত্রপাত জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে একটি ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমে, যখন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ধর্ম জিজ্ঞাসা করে ২৬ জন তীর্থযাত্রীকে হত্যা করেছিল। এই হামলায় পুরো দেশ স্তম্ভিত হয়ে যায়। জবাবে ভারত সরকার শুধুমাত্র সামরিক ফ্রন্টে নয়, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ফ্রন্টেও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ভারত একটি ব্যাপক সামরিক অভিযান চালায়, যার নাম দেওয়া হয় 'অপারেশন সিন্দুর'। এতে ভারতীয় বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে ড্রোন, মিসাইল এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী শিবির এবং সামরিক ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করে দেয়।
আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা: কৌশলগত অর্থনৈতিক আঘাত
ভারত কর্তৃক আরোপিত আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞার সরাসরি প্রভাব পড়েছে পাকিস্তানের এয়ারলাইন্সের উপর। ভারতের আকাশপথ ব্যবহার করে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে চলাচলকারী ফ্লাইটগুলোকে এখন দীর্ঘ পথ বেছে নিতে হচ্ছে, যার ফলে তাদের জ্বালানি খরচ, পরিচালন খরচ এবং সময় তিনটিই বেড়ে গেছে। এই নিষেধাজ্ঞা পাকিস্তানের জন্য শুধুমাত্র একটি কূটনৈতিক লজ্জা নয়, বরং একটি অর্থনৈতিক আঘাতও, যা তার আগে থেকেই দুর্বল অর্থনীতিকে আরও টালমাটাল করে দিয়েছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর সীমান্ত মহড়া
ভারত শুধু নিষেধাজ্ঞাই বাড়ায়নি, ২০২৩ সালের ২৩ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত রাজস্থানে ভারত-পাক সীমান্তের কাছে একটি বড় সামরিক মহড়ারও ঘোষণা করেছে। এই মহড়ার অধীনে বারমের, জয়সালমের, বিকানের এবং শ্রীগঙ্গানগরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রস্তুতি পরীক্ষা করা হবে। উল্লেখ্য, অপারেশন সিন্দুরের সময় পাকিস্তান এই অঞ্চলগুলোকেই নিশানা করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ভারতের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সমস্ত হামলা ব্যর্থ করে দিয়েছিল।
অপারেশন সিন্দুরের নির্ণায়ক সাফল্য
ভারতের এই প্রত্যাঘাত পাকিস্তান কে কৌশলগত এবং সামরিক স্তরে গভীর ক্ষতি করে।
- ১০০ জনের বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
- পাক সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তা ও সৈনিক হতাহত হয়েছে।
- একাধিক এয়ারবেস এবং ড্রোন কমান্ড সেন্টার ধ্বংস হয়েছে।
- ভারতীয় সেনা বায়ু, স্থল ও প্রযুক্তিগত হামলার মাধ্যমে পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দিয়েছে।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান শুধু সীমান্তে হামলা বাড়ায়নি, বরং আন্তর্জাতিক মঞ্চে যুদ্ধবিরতির আবেদনও জানিয়েছে।
ভারতের স্পষ্ট বার্তা: এখন 'নতুন নীতি, নতুন মনোভাব'
ভারতের এই পদক্ষেপ এই কথাই প্রমাণ করে যে, সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করা দেশগুলোর সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক আর সম্ভব নয়। আকাশসীমা নিষেধাজ্ঞা একটি কৌশলগত পদক্ষেপ, যা পাকিস্তানকে প্রতিটি ফ্রন্টে একা করে দিচ্ছে। ভারত এখন রক্ষণাত্মক নীতি থেকে সরে এসে সক্রিয় এবং আক্রমণাত্মক কৌশল অবলম্বন করছে, যা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একটি স্থায়ী সমাধানের দিকে অগ্রসর হওয়া পদক্ষেপ।