ভারত ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে দেশীয় স্টিলথ জেট ইঞ্জিন তৈরি

ভারত ও ফ্রান্সের যৌথ উদ্যোগে দেশীয় স্টিলথ জেট ইঞ্জিন তৈরি

ভারত ও ফ্রান্স একসঙ্গে পঞ্চম প্রজন্মের দেশীয় স্টিলথ জেট ইঞ্জিন তৈরি করবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছেন। ডিআরডিও এবং সাফ্রান কোম্পানি প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে।

Jet Engine: মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক ভারতের উপর ভারী শুল্ক আরোপের ঘোষণার পর, ভারত তার কৌশল পরিবর্তন করে ফ্রান্সের সাথে একসাথে পঞ্চম প্রজন্মের দেশীয় স্টিলথ জেট ইঞ্জিন তৈরির পরিকল্পনা করেছে। এই পদক্ষেপটি ভারত ও আমেরিকার মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নেওয়া হয়েছে এবং এটিকে একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভারতের উদ্দেশ্য হল দেশীয় প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের বিমান বাহিনীর ক্ষমতাকে শক্তিশালী করা এবং এই উদ্যোগটি ভারতের প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তিগত স্বাধীনতা উভয়কেই বাড়িয়ে তুলবে।

ফ্রান্স ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ফ্রান্সের কোম্পানি সাফ্রান এই প্রকল্পে ভারতকে ১০০ শতাংশ প্রযুক্তি হস্তান্তর করবে। উভয় দেশ মিলিতভাবে ১২০ কিলোনিউটনের থ্রাস্ট ইঞ্জিন তৈরি করবে। ডিআরডিও সাফ্রান কোম্পানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, কারণ এই কোম্পানি এর আগেও ভারতে হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য এয়ারক্রাফট নির্মাণে অভিজ্ঞতা দেখিয়েছে। এই প্রকল্পে ডিআরডিও-র গ্যাস টারবাইন রিসার্চ ল্যাবও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। অনুমান করা হচ্ছে এই পুরো প্রোজেক্টে প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে।

ডিআরডিও এবং AMCA প্রকল্প

ডিআরডিও জানিয়েছে যে সাফ্রান কোম্পানি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এএমসিএ-র জন্য উপযুক্ত বিকল্প। ভারত এই ইঞ্জিন নির্মাণের মাধ্যমে এএমসিএ বিমানকে সম্পূর্ণরূপে দেশীয় করার দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই প্রকল্পটি ভারতের জন্য প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বয়ংনির্ভর হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মাধ্যমে ভারত কেবল তার বিমানবাহিনীকে শক্তিশালী করবে না, আন্তর্জাতিক স্তরেও তার প্রযুক্তিগত অবস্থান মজবুত করবে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের অনুমোদন

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ভারতের দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করার প্রয়োজন রয়েছে এবং এই পদক্ষেপটি দেশের সুরক্ষা এবং বিমান বাহিনীর মজবুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন যে ভারত ফাইটার জেট নির্মাণের দিকে অভূতপূর্ব পদক্ষেপ নিয়েছে, যা আগামী বছরগুলোতে বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে।

বিমান বাহিনীর প্রয়োজন 

সম্প্রতি বিমান বাহিনী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে চিঠি লিখেছিল, যেখানে বলা হয়েছে যে আগামী কয়েক বছরে অনেক বিমান অবসর নেবে। এই পরিস্থিতিতে নতুন বিমান এবং ইঞ্জিনের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশীয় পঞ্চম প্রজন্মের জেট ইঞ্জিন নির্মাণের ফলে ভবিষ্যতে কেবল বিমান বাহিনীর প্রয়োজনীয়তাই পূরণ করা যাবে না, বিদেশি প্রযুক্তির উপর নির্ভরতাও কমবে।

Leave a comment