ভারত আমেরিকা থেকে অস্ত্র কেনা স্থগিত করেছে। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প কর্তৃক ৫০% শুল্ক আরোপের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সফরও স্থগিত করা হয়েছে।
Trump Tariff: ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা এখন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও পৌঁছেছে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক ভারতের উপর শুল্ক বাড়ানোর পর ভারতও একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। নয়াদিল্লি আমেরিকা থেকে সামরিক অস্ত্র ও বিমান কেনার পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত করেছে। শুধু তাই নয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের প্রস্তাবিত আমেরিকা সফরও স্থগিত করা হয়েছে।
আমেরিকার শুল্ক সিদ্ধান্তের পর ভারতের জবাব
রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প ভারত থেকে আসা কিছু পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছিলেন, যা ৮ই আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে। এতে ভারতের রপ্তানির উপর মোট শুল্ক ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। এটি যে কোনও আমেরিকান বাণিজ্যিক অংশীদারের উপর আরোপিত সর্বোচ্চ শুল্ক। ভারত এই পদক্ষেপকে অনুচিত মনে করছে এবং তারই জবাবে সামরিক কেনাকাটার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা চুক্তিতে বিরতি
নিউজ এজেন্সি রয়টার্সের अनुसार, ভারত সরকার আপাতত আমেরিকা থেকে কোনও নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এর মধ্যে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য উচ্চ প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সূত্র মারফত জানা গেছে, এই পদক্ষেপ ভারতের পক্ষ থেকে চাপ সৃষ্টি করার একটি কৌশল, যাতে আমেরিকার সাথে আলোচনায় ভারতের অবস্থান শক্তিশালী হয়।
রাজনাথ সিংয়ের আমেরিকা সফর স্থগিত
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমেরিকা সফরে যাওয়ার কথা ছিল। এই সফরের সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু রয়টার্সকে সরকারি সূত্র জানিয়েছে যে এই সফর এখন স্থগিত করা হয়েছে। এর সরাসরি সম্পর্ক আমেরিকার নতুন শুল্ক নীতি এবং ভারতের পাল্টা পদক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত।
ভারতের উদ্বেগ: রাশিয়া থেকে তেল কেনা मुद्दा
আমেরিকার পক্ষ থেকে এই শুল্ক প্রধানত ভারত কর্তৃক রাশিয়া থেকে তেল কেনার প্রতিক্রিয়ায় আরোপ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প বলেছিলেন যে ভারত রাশিয়া থেকে সস্তা তেল কিনে সেই অর্থ ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তার জন্য ব্যবহার করছে। এই যুক্তি ভারতের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ ভারত বহু দশক ধরে রাশিয়ার সাথে জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা খাতে অংশীদারিত্ব বজায় রেখেছে।
কূটনৈতিক ক্ষেত্রে বাড়ল চাপ
ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা ওয়াশিংটনের সাথে গঠনমূলক আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে যতক্ষণ না শুল্ক এবং বাণিজ্যিক নীতি নিয়ে পরিস্থিতি স্পষ্ট হচ্ছে, ততক্ষণ কোনও নতুন প্রতিরক্ষা কেনাকাটা করা হবে না। ভারতের বিশ্বাস, আমেরিকার শুল্ক নীতি একতরফা এবং এটিকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে নিশানা করা হচ্ছে।