আমেরিকা-ইসরায়েলের চক্রান্তের বিরুদ্ধে মুসলিম ঐক্যের ডাক দিলেন ইরানের সুপ্রিম লিডার খামেনি

আমেরিকা-ইসরায়েলের চক্রান্তের বিরুদ্ধে মুসলিম ঐক্যের ডাক দিলেন ইরানের সুপ্রিম লিডার খামেনি

ইরানের সুপ্রিম লিডার খামেনি আমেরিকা ও ইসরায়েলের চক্রান্তের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। আমেরিকা নির্ভরযোগ্য নয়, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য মুসলিম দেশগুলোর একসঙ্গে দাঁড়ানো উচিত।

খামেনির বড় বিবৃতি: ইরানের সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আমেরিকা ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি গুরুতর বিবৃতি জারি করেছেন। তিনি বিশ্বের সকল মুসলিম দেশকে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। এই বিবৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইসরায়েল সম্প্রতি কাতার ও ইয়েমেনের রাজধানীগুলিতে বড় হামলা চালিয়েছে। খামেনি বলেছেন যে আমেরিকা নির্ভরযোগ্য নয় এবং এটি কেবল তার সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থে মুসলিম দেশগুলিকে ব্যবহার করে।

খামেনির পোস্টে কী লেখা আছে

খামেনি তার পোস্টে স্পষ্ট করেছেন যে আঞ্চলিক সরকারগুলোর বোঝা উচিত যে আমেরিকা কেবল তাদের অর্থ ও সামরিক শক্তি নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। তিনি লিখেছেন যে আমেরিকা ও তার মিত্ররা কেবল জায়োনিস্ট শাসনকে টিকিয়ে রাখার মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই অঞ্চলের সমস্যার সমাধান মুসলিম দেশগুলোর ঐক্য, সহযোগিতা এবং সাম্রাজ্যবাদী উদ্দেশ্যের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়ানোর মধ্যেই নিহিত।

মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যের আহ্বান

খামেনি মুসলিম দেশগুলোর কাছে আমেরিকা ও ইসরায়েলের চক্রান্ত বোঝার এবং একসঙ্গে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে এখন সময় এসেছে সকল মুসলিম দেশকে কৌশলগত ও রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। এর মাধ্যমে আমেরিকার চক্রান্ত ও ইসরায়েলের হামলা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা কেবল ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ালেই অর্জন করা সম্ভব।

আমেরিকা-ইসরায়েলের হামলা

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে আমেরিকা ও ইসরায়েলের হামলা খামেনির বিবৃতির প্রেক্ষাপট। আমেরিকান বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান ব্যবহার করে ইরানের তিনটি ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এই বোমারু বিমানগুলির বিশেষ ক্ষমতা প্রায় ২০০ ফুট গভীর পর্যন্ত গিয়ে কাঠামো ধ্বংস করার। এই হামলার পর খামেনি আমেরিকা ও ইসরায়েলের উপর তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং মুসলিম দেশগুলোকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

কাতার ও ইয়েমেনে ইসরায়েলি হামলা

খামেনির বিবৃতি এমন এক সময়ে এসেছে যখন ইসরায়েল কাতারের রাজধানী দোহা এবং ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হামলা চালিয়েছে। দোহায় হামলাটি হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে চালানো হয়েছিল। জানা গেছে যে হামাসের কিছু শীর্ষ নেতা দোহায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কৌশল (strategy) তৈরির জন্য বৈঠক করছিলেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এই বৈঠকের স্থানটিকে লক্ষ্য করে। এই হামলায় হামাসের পাঁচজন সদস্য নিহত হয়েছেন, যদিও প্রধান নেতাদের অক্ষত থাকার দাবি করা হয়েছে।

Leave a comment