কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর 2025 : যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা চরমে। ক্যাম্পাসের জলাশয় থেকে উদ্ধার হওয়া দেহকে কেন্দ্র করে তদন্তে এবার নতুন মোড়—মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ।
খুনের মামলা দায়ের করলেন বাবা-মা
লালবাজারে গিয়ে পুলিশের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে সোমবার বৈঠক করেন মৃতার বাবা-মা। তাঁদের দাবি, মেয়ের মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নয়। যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরই খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক রিপোর্টে ডুবে মৃত্যু, প্রশ্ন তুললেন পরিবার
ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতার পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়ে অন্ধকারকে ভয় পেতেন। বাবার কথায়, যে মেয়ে অন্ধকারে যেত না, যে একটা পোকা দেখলেই ভয় পেত, সে একা ঝিলপাড়ে কীভাবে গেল? এটা খুন ছাড়া কিছু নয়।
বন্ধুদের তলব করল পুলিশ
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ঘটনার রাতে মেয়েটির সঙ্গে ছিলেন তাঁর তিন বন্ধু। ঠিক কী হয়েছিল সেদিন রাতে, তা জানতেই তাঁদের তলব করা হয়েছে। পাশাপাশি, মৃতার ফোনের কললিস্টও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নেশার তত্ত্বে প্রশ্নচিহ্ন
সহপাঠীদের দাবি, মদ্যপানের কারণে পা পিছলে পড়েছিলেন তিনি। যদিও, মৃতার পরিবার এই দাবি মানতে নারাজ। নেশাগ্রস্ত ছিলেন কি না, তা জানতে ভিসেরা রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈঠক
এদিকে, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের বৈঠক বসে। ছাত্রীর মৃত্যু ঘিরে ক্যাম্পাসজুড়ে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা নিয়েই সেখানে আলোচনা হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু নতুন মোড় নিল। সোমবার থানায় হাজির হয়ে খুনের অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতার বাবা। পরিবারের দাবি, এটি কোনও দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যা।