উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে আসন্ন বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার হয়েছে। বহুজন সমাজ পার্টি (BSP) মিশন মোডে প্রস্তুতি শুরু করেছে।
লখনউ: উত্তর প্রদেশে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে বহুজন সমাজ পার্টি মিশন মোডে প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই অভিযান শুরু হতে চলেছে দলের প্রতিষ্ঠাতা কাঁসিরামের ৯ অক্টোবর পুণ্যতিথি থেকে। বিএসপি এই সুযোগটিকে নিজেদের শক্তি এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করতে চায়। এই সময়ে বেশ কয়েকজন বড় নেতাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে নিজেদের রাজনৈতিক প্রভাব আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা রয়েছে।
কাঁসিরামের পুণ্যতিথিতে লখনউয়ের কাঁসিরাম স্মারক স্থলে রাজ্য স্তরের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যজুড়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষের ভিড় জমানোর লক্ষ্য রাখা হয়েছে। বিএসপি নেত্রী মায়াবতী এবং তাঁর ভাইপো আকাশ আনন্দও এই উপলক্ষে উপস্থিত থাকবেন।
কাঁসিরামের পুণ্যতিথিতে রাজ্য স্তরের অনুষ্ঠান
বিএসপি ৯ অক্টোবর লখনউয়ের কাঁসিরাম স্মারক স্থলে রাজ্য স্তরের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এই অনুষ্ঠানে রাজ্যজুড়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ অংশ নেবেন। বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতীর সঙ্গে তাঁর ভাইপো আকাশ আনন্দও এই আয়োজনে উপস্থিত থাকবেন। এই উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হবে যে, বিএসপি আসন্ন নির্বাচনে পূর্ণ শক্তি নিয়ে ময়দানে নামছে। দলের চেষ্টা থাকবে যে এই অনুষ্ঠানটি কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে বিএসপি-র রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হয়ে উঠুক।
বিএসপি-র এই আয়োজন সংগঠন এবং কর্মীদের সক্রিয় করার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই অনুষ্ঠানে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হতে চলা বেশ কয়েকজন বড় নেতার মাধ্যমে এই বার্তাও দেওয়া হবে যে, বিএসপি রাজনৈতিকভাবে এখনও শক্তিশালী ও প্রভাবশালী। জাতীয় মহাসচিব সতীশ চন্দ্র মিশ্রকে এই আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি স্থান প্রস্তুতি, নিরাপত্তা এবং অনুষ্ঠানের ব্যবস্থার উপর নজর রাখছেন।
বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী এই অনুষ্ঠানে কর্মীদের নতুন শক্তি ও উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের আসন্ন নির্বাচনী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার কৌশলও জানাবেন। দলের বিশ্বাস, বিরোধী দলগুলি “সাম, দাম, দণ্ড ও ভেদ” নীতি ব্যবহার করে বিএসপি-কে দুর্বল করার চেষ্টা করছে, যাতে দলিত নেতৃত্বের শক্তিকে সীমাবদ্ধ করা যায়।
দলের কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা
বিএসপি-র জন্য এই আয়োজনটি এই কারণেও গুরুত্বপূর্ণ কারণ দলটি বর্তমানে তার দুর্বল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০০৭ সালে বিএসপি নিজেদের ক্ষমতায় পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছিল, কিন্তু এরপর থেকে দলের কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিএসপি মাত্র একটি আসনে সাফল্য পেয়েছিল, যেখানে লোকসভা নির্বাচনে দলের খাতা খুলতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে মায়াবতী এই পুণ্যতিথি অনুষ্ঠানটিকে সংগঠনকে পুনরায় শক্তিশালী করতে এবং কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা জাগানোর একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন।