স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুধ খাওয়ার উপকারিতা: রাতে ঘুমনোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ শরীর ও মনের পক্ষে কার্যকর। কি: এটি ঘুম আনতে সাহায্য করে, হাড় শক্তিশালী করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কোথায়: প্রতিদিন বাড়িতেই রাতে খাওয়ার অভ্যাস। কখন: শোয়ার আগে। কারা: সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে চাপগ্রস্ত বা ক্লান্ত ব্যক্তিরা। কেন: দুধে থাকা ক্যালসিয়াম, ট্রিপটোফ্যান ও ভিটামিন ডি শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
ঘুম গভীর ও প্রশান্ত করে
দুধে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোন তৈরি করে। এগুলো মনকে শান্ত করে ও ঘুম গভীর করে।ঘুমের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য রাতে গরম দুধ একটি প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে ধরা হয়।
হাড় ও দাঁতের শক্তি বাড়ায়
দুধ ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর চমৎকার উৎস। রাতে খাওয়ার ফলে ঘুমের মধ্যে শরীর এগুলো সহজে শোষণ করতে পারে।শিশু থেকে প্রবীণ—সবার ক্ষেত্রেই হাড় ও দাঁতের যত্নে রাতে দুধ অত্যন্ত উপকারী।
হজমে সাহায্য করে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
গরম দুধ হজম প্রক্রিয়াকে আরাম দেয় এবং অম্লতা কমায়।আয়ুর্বেদ মতে, রাতে দুধ খাওয়া শরীরের বাত ও পিত্ত দোষকে সামঞ্জস্য রাখে।এছাড়া এতে থাকা প্রোটিন ও ভিটামিন বি১২ শরীরকে শক্তি জোগায় এবং ইমিউনিটি উন্নত করে।
দুধের সঙ্গে ভেষজ মিশিয়ে অতিরিক্ত উপকার
হলুদ মিশিয়ে খেলে প্রদাহ কমে ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।মধু মিশিয়ে খেলে স্নায়ু শান্ত হয়, ঘুম দ্রুত আসে।জায়ফল বা এলাচ দিয়ে খেলে স্বাদ বাড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য উপকারও মেলে।
কারা রাতে দুধ এড়িয়ে চলবেন
যাঁদের ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স আছে, তাঁদের রাতে দুধ খাওয়া উচিত নয়।এতে অম্লতা, গ্যাস বা পেটের অস্বস্তি দেখা দিতে পারে।এছাড়া চিকিৎসক যাঁদের দুধ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও সতর্কতা প্রয়োজন।
দুধ খাওয়ার উপকারিতা: বিশেষজ্ঞদের মতে রাতে ঘুমনোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ শরীর ও মনের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এটি ঘুম গভীর করে, হাড় ও দাঁত মজবুত করে এবং হজমে সাহায্য করে। তবে যাঁদের ল্যাক্টোজ অসহিষ্ণুতা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে রাতে দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না।