ডায়াবেটিস ও হজমজনিত সমস্যার সমাধানে ঘরোয়া উপায়: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস গরম জলে সামান্য হলুদ মিশিয়ে খাওয়া শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী বলে মত বিশেষজ্ঞদের। দক্ষিণ দিনাজপুরের মানিকপুর সিএইচসি-র চিকিৎসক ডাঃ পবনের দাবি, হলুদের কারকিউমিন ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে, যার ফলে রক্তে শর্করার হঠাৎ ওঠানামা হয় না। একইসঙ্গে এটি গ্যাস, অ্যাসিডিটি ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার
হলুদের কারকিউমিন উপাদান ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খালি পেটে হলুদের জল পান করলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ডায়াবেটিস রোগীরা স্বাভাবিকভাবে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।
হজমশক্তি উন্নত ও কোষ্ঠকাঠিন্য মুক্তি
সকালে হলুদের জল খেলে পেটের গ্যাস, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য অনেকটাই কমে। এটি ভাল ব্যাকটেরিয়াকে সক্রিয় করে, যা খাবার হজমে সাহায্য করে এবং শরীরকে হালকা রাখে।
ডিটক্স ও লিভার পরিষ্কারে কার্যকর
চিকিৎসকদের মতে, হলুদের জল প্রাকৃতিক ডিটক্স ড্রিঙ্ক। এটি লিভার পরিষ্কার করে এবং শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের করে দেয়। নিয়মিত সেবনে অনেক গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমে।
ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হলুদ ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা নিয়ে আসে। প্রতিদিন খাওয়ার ফলে বলিরেখা, ব্রণ ও কালো দাগ ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
হলুদের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ঠান্ডা, জ্বর ও ঋতুবদলের সংক্রমণ থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। নিয়মিত খাওয়ার ফলে ইমিউন সিস্টেম আরও শক্তিশালী হয়।
সকালে খালি পেটে হলুদের জল পান: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী, হজমশক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও শরীর ডিটক্স করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।