জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে ৮ অগাস্ট। ২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কেন্দ্র এই রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে। কংগ্রেস এর বিরোধিতা করছে।
জম্মু-কাশ্মীর: জম্মু ও কাশ্মীরকে ফের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে দাখিল হওয়া একটি আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে ৮ অগাস্ট অনুষ্ঠিত হবে। প্রবীণ আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণন ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের কাছে এই বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং এটিকে তালিকাভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেন। আদালত সেই অনুরোধ গ্রহণ করে শুনানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
২০১৯ সালের ৫ অগাস্টের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত
২০১৯ সালের ৫ অগাস্ট কেন্দ্র সরকার একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেওয়া বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে। এর সঙ্গে রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়- জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। এই সিদ্ধান্তের অধীনে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়, যা জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ স্বায়ত্তশাসন প্রদান করত।
সুপ্রিম কোর্ট আগে কী বলেছিল
ডিসেম্বর ২০২৩-এ সংবিধান पीठ জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখে। তবে, সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের বিষয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়নি। আদালত কেন্দ্র সরকারের এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে রায়টি সুরক্ষিত রাখে যে শীঘ্রই রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করা হবে।
পিটিশনের উদ্দেশ্য কী
সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত একটি সিদ্ধান্তের সাথে সম্পর্কিত একটি বিবিধ আবেদন হিসাবে এই নতুন পিটিশনটি দাখিল করা হয়েছে। এতে সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, কেন্দ্র সরকারকে যেন জম্মু ও কাশ্মীরকে আবার পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই বিষয়টি জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন, ২০১৯-এর বৈধতার সাথেও জড়িত, যার অধীনে রাজ্যটি বিভক্ত করা হয়েছিল।
রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন
এই শুনানিকে ঘিরে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনীতিতেও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেস পার্টি ৫ অগাস্টকে "কালো দিবস" হিসেবে পালন করার ঘোষণা করেছে। দলটির বক্তব্য, এই দিনটি সংবিধান, গণতন্ত্র এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর আক্রমণ ছিল। কংগ্রেস রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের দাবিতে বিক্ষোভ করবে।
কংগ্রেসের সমর্থন
কংগ্রেস এই প্রতিবাদে "অল পার্টি ইউনাইটেড মোর্চা"-র সমর্থন পেয়েছে। এই মোর্চাটি রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছে। বিভিন্ন দল ও সামাজিক সংগঠন এই পদক্ষেপকে সমর্থন করে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।