পেট ফাঁপা: ঘুম থেকে ওঠার পর পেট ফুলে যাওয়া এবং গ্যাসজনিত অস্বস্তি অনেকের জন্যই সাধারণ সমস্যা। গবেষণা দেখিয়েছে যে প্রায় ১৮% মানুষ সপ্তাহে অন্তত একবার এটি অনুভব করেন, এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে এটি দ্বিগুণ হতে পারে। রাতে হজমের গতি কমে যাওয়া, গ্যাস আটকে থাকা বা খাবারের অসহিষ্ণুতা সমস্যার কারণ। কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং কৃত্রিম মিষ্টি এড়ানো, সঙ্গে আদা, পেঁপে, ওটস, কলা বা বাটারমিল্ক খাওয়া হজমকে সাহায্য করে এবং পেট ফাঁপার অস্বস্তি কমায়।
পেট ফাঁপার প্রধান কারণ
রাতে হজম ধীর হওয়া, গ্যাস আটকে থাকা বা অপাচ্য খাবার সকালে অস্বস্তি তৈরি করে।
খাবারের অসহিষ্ণুতা যেমন ল্যাকটোজ বা গ্লুটেন সংবেদনশীলতাও সমস্যাকে বাড়ায়। হরমোনের পরিবর্তনও পেট ফুলে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
এড়াতে হবে কোন খাবার
কার্বনেটেড পানীয়, সোডিয়াম সমৃদ্ধ প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং কৃত্রিম মিষ্টি গ্যাস তৈরি বাড়ায়।
রাতের খাবারে ব্রোকলি বা বাঁধাকপি এড়ালে সকালে পেট ফাঁপা কম হয়। দ্রুত খাওয়া বা কথা বলার সময় চিবানো এড়ানো দরকার, যাতে বাতাস গিলে যাওয়া না হয়।
হজম বাড়ানোর অন্ত্র-বান্ধব খাবার
আদা: পরিপাকতন্ত্রকে প্রশমিত করে ও হজমে সাহায্য করে।
পেঁপে: পেপেইন এনজাইম প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে।
ওটস: উচ্চ ফাইবারযুক্ত, নিয়মিত মলত্যাগে সহায়ক।
কলা: পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, জল ধরে রাখার ক্ষমতা কমায়।
বাটারমিল্ক: প্রাকৃতিক প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করে, গ্যাস কমায়।
সহজ ও স্মার্ট টিপস
সারাদিন পর্যাপ্ত জল পান করুন (৮–১০ গ্লাস)।
ধীরে ধীরে খাবার খান এবং ভালো করে চিবান।
সন্ধ্যায় হালকা হাঁটার অভ্যাস করুন।
ঘুমানোর ঠিক আগে ভারী খাবার এড়ান।
ঘুম থেকে ওঠার পর পেট ফাঁপা বা গ্যাসজনিত অস্বস্তি খুব সাধারণ। গবেষণা অনুযায়ী, সপ্তাহে প্রায় ১৮% মানুষ এই সমস্যা অনুভব করেন। বিশেষ করে মহিলা বেশি প্রভাবিত হন। কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং কৃত্রিম মিষ্টি খেলে সমস্যা বাড়ে। হজম সহায়ক খাবার খেলে গ্যাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।