যোধপুরে পিএফ অফিসের সামনে একটি দ্রুত গতির গাড়ি পথচারী চন্দ্রশেখর গৌড়কে ধাক্কা মারে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। চালক গ্রেফতার হওয়ার পর জামিনে মুক্তি পায়। ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
যোধপুর: রাজস্থানের যোধপুর শহরে পিএফ অফিসের সামনে একটি মর্মান্তিক হিট অ্যান্ড রান দুর্ঘটনা মানুষকে নাড়িয়ে দিয়েছে। একটি দ্রুত গতির গাড়ি পথচারী চন্দ্রশেখর গৌড়কে ধাক্কা মারে, যার ফলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর অভিযুক্ত চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়, যাকে পরে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে গ্রেফতার করে।
দ্রুত গতির গাড়ি চন্দ্রশেখর গৌড়কে ধাক্কা মারে
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনা পিএফ অফিসের সামনে সেই সময় ঘটেছিল, যখন এলাকার মানুষজন সাধারণত যাতায়াত করছিল। চন্দ্রশেখর গৌড় রাস্তা পার হচ্ছিলেন, হঠাৎ একটি দ্রুত গতির গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। আশপাশের লোকজন দ্রুত পুলিশকে খবর দেয় এবং আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা আহতের গুরুতর অবস্থা দেখে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করেন, কিন্তু আহতের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়দের বক্তব্য, এই রাস্তাটি সব সময় ভিড় থাকে এবং চালকরা প্রায়শই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালায়, যার ফলে এই ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পুলিশের পদক্ষেপ এবং অভিযুক্তের গ্রেফতার
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে এবং সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চালককে শনাক্ত করে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এই ঘটনায় হিট অ্যান্ড রান মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে, মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে অবাক যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর পুলিশ মুচলেকায় জামিন দিয়েছে। স্থানীয় জনগণ এবং মৃতের পরিবার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে এবং ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, যখন অসাবধানতার কারণে রাস্তায় কারো জীবন চলে যায়, তখন এমন ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
দুর্ঘটনার পর এলাকায় শোক ও ক্ষোভ
চন্দ্রশেখর গৌড়ের অকাল মৃত্যুতে পরিবার এবং স্থানীয়দের মধ্যে শোকের আবহ। পরিবারের সদস্যরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছে এবং চায় যে অভিযুক্ত চালককে যত দ্রুত সম্ভব শাস্তি দেওয়া হোক। আশপাশের লোকজনও সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে পিএফ অফিসের আশেপাশে প্রায়শই দ্রুত গতির যানবাহন চলাচল করে, কিন্তু সেখানে ট্রাফিক নিয়ম কার্যকর করার জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। তাদের বক্তব্য, যদি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তাহলে ভবিষ্যতে এই ধরনের আরও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশাসন ও নিরাপত্তায় প্রশ্ন
এই ঘটনা প্রশাসনের গাফিলতি এবং সড়ক নিরাপত্তা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। মানুষ চায় যে পিএফ অফিস এবং এর আশেপাশে স্পিড ব্রেকার, ট্রাফিক সিগন্যাল এবং নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হোক। স্থানীয় সম্প্রদায় প্রশাসনকে অনুরোধ করেছে যে দুর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হোক।
পুলিশ জানিয়েছে যে অভিযুক্তের গ্রেফতারের পর পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলছে। মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে যে তারা ন্যায়বিচারের জন্য সম্ভাব্য সব চেষ্টা করবে এবং এমন ক্ষেত্রে একটি কঠোর বার্তা দিতে চায় যে কারো জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যাবে না।