তেলেঙ্গানায় ৪২% সংরক্ষণের দাবিতে রাজ্যজুড়ে বনধ: সমর্থন জানাল প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি

তেলেঙ্গানায় ৪২% সংরক্ষণের দাবিতে রাজ্যজুড়ে বনধ: সমর্থন জানাল প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি
সর্বশেষ আপডেট: 1 ঘণ্টা আগে

তেলেঙ্গানায় পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলির জন্য ৪২ শতাংশ সংরক্ষণের দাবিতে শনিবার রাজ্যব্যাপী বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস), ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), কংগ্রেস এবং বাম দলগুলি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে।

হায়দ্রাবাদ: তেলেঙ্গানায় পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য ৪২ শতাংশ সংরক্ষণের দাবিতে আজ রাজ্যব্যাপী বনধের (হরতাল) ডাক দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), কংগ্রেস, ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস) এবং বাম দলগুলি সহ বহু রাজনৈতিক সংগঠন এই বনধকে সমর্থন করেছে। বনধের মূল কারণ হল তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট কর্তৃক পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্য ৪২ শতাংশ সংরক্ষণের রাজ্য সরকারের আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করা। এর প্রতিবাদে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সংগঠনগুলি শনিবার বনধের ঘোষণা করেছে।

বনধের কারণ এবং আইনি প্রেক্ষাপট

তেলেঙ্গানা সরকার স্থানীয় সংস্থাগুলিতে পিছিয়ে পড়া জাতিগুলির জন্য ৪২ শতাংশ সংরক্ষণের আদেশ জারি করেছিল। এই আদেশে তফসিলি জাতি (এসসি), তফসিলি উপজাতি (এসটি), অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণী (ওবিসি) এবং অন্যান্য শ্রেণীগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে মোট সংরক্ষণ ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। তবে, সুপ্রিম কোর্ট ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের সীমা উল্লেখ করে এই আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করে। তেলেঙ্গানা সরকার সুপ্রিম কোর্টেও এই আদেশ কার্যকর করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেখানেও এটি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়।

এই আইনি প্রেক্ষাপটের কারণে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সংগঠনগুলি রাজ্যব্যাপী বনধের ডাক দিয়েছে, যাতে সমাজে ন্যায়বিচার এবং সমান সুযোগের জন্য চাপ সৃষ্টি করা যায়।

কী বন্ধ থাকবে এবং কী খোলা থাকবে?

বনধের কারণে সমস্ত সরকারি কার্যালয়, স্কুল এবং কলেজ বন্ধ থাকবে। এছাড়াও, গণপরিবহন পরিষেবাগুলিও প্রভাবিত হতে পারে। তবে, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলি চালু থাকবে। পুলিশ এবং হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলি স্বাভাবিকভাবে কাজ করবে। বাণিজ্যিক কার্যক্রমও প্রভাবিত হতে পারে, বিশেষ করে বাজার এবং ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকতে পারে।

বনধকে বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়ই সমর্থন করেছে। বিজেপি সাংসদ আর কৃষ্ণাইয়া বলেছেন: "এই প্রতিবাদ রাজ্যর সকল পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর সম্মিলিত কণ্ঠস্বরের প্রতিনিধিত্ব করে। আমরা ন্যায়বিচারের জন্য ব্যাপক প্রতিবাদ করব এবং সরকারে উপর কর্মসংস্থান ও স্থানীয় সংস্থাগুলিতে সংরক্ষণ প্রদানের জন্য চাপ সৃষ্টি করব।"

একই সময়ে, তেলেঙ্গানার শাসক দল কংগ্রেসও এই বনধকে সমর্থন করেছে। উপ-মুখ্যমন্ত্রী ভাট্টি বিক্রমরকা অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্রের মোদী সরকার পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর কোটা বৃদ্ধির বিল অনুমোদন করছে না। এই বিবৃতি থেকে স্পষ্ট যে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের মধ্যে সংরক্ষণ নীতি নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Leave a comment