জাস্টিস যশবন্ত ভার্মার আবেদন সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। তিনি নগদ কেলেঙ্কারি ও তদন্তের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। আদালত জানিয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়া বৈধ এবং আচরণ বিশ্বাসযোগ্য নয়।
Justice Varma Case: সুপ্রিম কোর্ট জাস্টিস যশবন্ত ভার্মা কর্তৃক দাখিল করা সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে, যেখানে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে চলমান তদন্ত প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। এই মামলাটি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে দিল্লির সরকারি বাসভবনে আগুন লাগা এবং তার সঙ্গে জড়িত নগদ উদ্ধারের ঘটনার পর সামনে আসে।
পুরো ঘটনাটি কী
১৪ই মার্চ রাতে লুটিয়েন্স দিল্লিতে সরকারি বাসভবনে আগুন লাগার ঘটনা পুরো বিচার বিভাগীয় ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আগুন লাগার সময় জাস্টিস যশবন্ত ভার্মা বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর পরিবারের সদস্যরা তৎক্ষণাৎ দিল্লি ফায়ার ডিপার্টমেন্টকে খবর দেন এবং দমকল বিভাগ দ্রুত একটি দল পাঠিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই ঘটনার পর মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, আগুন নেভানোর সময় বিচারকের বাড়িতে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকা দেখা গিয়েছিল। যদিও, তৎক্ষণাৎ এর কোনও আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু খবরের ভিত্তিতে বিচার বিভাগ এবং সরকারের উচ্চতম স্তরে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়।
সিজেআই তদন্ত শুরু করান
২০শে মার্চ সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না কলেজিয়ামের জরুরি বৈঠক ডাকেন। এই বৈঠকে দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথমত, জাস্টিস ভার্মাকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি করার প্রস্তাব রাখা হয় এবং দ্বিতীয়ত, দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে স্থির করা হয় যে, জাস্টিস ভার্মার বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই রিপোর্ট এবং কলেজিয়ামের সুপারিশের বিরুদ্ধেই জাস্টিস ভার্মা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করেছিলেন।
তদন্ত প্রক্রিয়ার উপর প্রশ্ন
জাস্টিস ভার্মার পক্ষ থেকে দাখিল করা আবেদনে বলা হয়েছিল যে, তাঁর বিরুদ্ধে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে তা সংবিধান ও বিচারিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। তিনি বিশেষভাবে তৎকালীন সিজেআই কর্তৃক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিকেও অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করেন। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে তদন্ত কমিটি নিয়মকানুন অনুসরণ করেনি এবং তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের পুরো সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট জবাব
জাস্টিস দীপঙ্কর দত্ত এবং জাস্টিস এজি মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ আবেদন খারিজ করে স্পষ্ট জানিয়েছে যে, তদন্ত কমিটি সমস্ত নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে। আদালত আরও বলেছে যে, জাস্টিস ভার্মার আচরণ এমন ছিল না যা বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা তৈরি করে। সিজেআই কর্তৃক রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠি অসাংবিধানিক ছিল, এই যুক্তি মানতে আদালত অস্বীকার করেছে।