জাস্টিস যশবন্ত ভার্মা সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট এবং পদ থেকে অপসারণের সুপারিশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। এই পিটিশনটি অভিশংসন প্রক্রিয়ার আগে দাখিল করা হয়েছে।
Justice Yashwant SC: সুপ্রিম কোর্টে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে যখন দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত ভার্মা সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ করেন। তিনি সংসদের বাদল অধিবেশনের ঠিক আগে এই পিটিশনটি দাখিল করেন, যখন তার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তদন্ত রিপোর্ট বাতিল করার দাবি
জাস্টিস ভার্মা তার পিটিশনে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি জাস্টিস সঞ্জীব খান্না কর্তৃক ৮ মে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো সুপারিশ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। এই সুপারিশে তার বিরুদ্ধে সাংবিধানিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তিনি আদালতের কাছে অনুরোধ করেছেন যে তদন্ত কমিটির রিপোর্টকে অবৈধ, স্বেচ্ছাচারী এবং প্রাকৃতিক ন্যায়বিচারের নীতির পরিপন্থী ঘোষণা করা হোক।
সরকারি বাসভবনে আগুন, পোড়া নোটের স্তূপ ঘিরে প্রশ্ন
এই পুরো ঘটনাটি সামনে আসে যখন ১৪ মার্চ হোলির রাতে জাস্টিস ভার্মার সরকারি বাসভবনে আগুন লাগে। সেই সময় তিনি ও তার স্ত্রী ভূপালে ছিলেন, তবে বাড়িতে তার মেয়ে ও বয়স্ক মা উপস্থিত ছিলেন।

দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর সময় একটি স্টোর রুমে আগুনে পোড়া নোট ভর্তি বস্তা দেখতে পান। এর পরে ঘটনাস্থল থেকে দুটি ভিডিও সামনে আসে, যা বিষয়টিকে আরও বিতর্কিত করে তোলে। এই ঘটনার পরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
অভিশংসন প্রক্রিয়ার আগে দাখিল করা পিটিশন
ভার্মার এই পিটিশনটি এমন সময়ে এসেছে যখন সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। সূত্র মারফত জানা যায়, সরকার এই অধিবেশনে জাস্টিস ভার্মার বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনার কথা বিবেচনা করছে। এমন পরিস্থিতিতে এই পিটিশন সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।
পিটিশনে কি বলা হয়েছে
পিটিশনে বলা হয়েছে যে তদন্ত কমিটি ভার্মাকে পর্যাপ্ত শুনানির সুযোগ দেয়নি এবং তার বক্তব্য সঠিকভাবে শোনা হয়নি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে রিপোর্টটি পূর্ব-নির্ধারিত উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং এর উদ্দেশ্য হল তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য একটি পরিস্থিতি তৈরি করা। তিনি দাবি করেছেন যে এই রিপোর্ট বাতিল করা হোক এবং আদালত যতক্ষণ না এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়, ততক্ষণ অভিশংসন বা অন্য কোনও সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করা হোক।
                                                                        
                                                                            
                                                










