১০ শতাংশ ছেলের জন্য যাদবপুর নষ্ট সিপিএম-এসএফআইকে একহাত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

১০ শতাংশ ছেলের জন্য যাদবপুর নষ্ট সিপিএম-এসএফআইকে একহাত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মণ্ডলের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তেজনা এখনও তুঙ্গে। তার মধ্যেই তৃণমূলের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিস্ফোরক মন্তব্য আরও একবার চর্চায় আনল যাদবপুরকে। সিপিএম-এসএফআই-কে সরাসরি আক্রমণ করে তিনি দাবি করেন, নিষিদ্ধ জিনিসের ছড়াছড়ি চলছে ক্যাম্পাসে।

সিপিএম-এসএফআইকে দায়ী করলেন কল্যাণ

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “মাত্র ১০ শতাংশ ছেলের জন্য যাদবপুরটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সবই করছে সিপিএম-এসএফআই। যতদিন ওরা থাকবে, যাদবপুরে কোনও পরিবর্তন হবে না।” তিনি আরও কটাক্ষ করে বলেন, “ওখানে সব চরিত্রহীন, মাতাল, গাঁজাখোর জড়ো হয়েছে।”

ছাত্রী মৃত্যুর আবহে বিস্ফোরক মন্তব্য

গত বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর ক্যাম্পাসের পার্কিং লটে নাট্যসংগঠনের এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অনামিকা মণ্ডল। এরপরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা। রাজ্যজুড়ে ক্ষোভের আগুনে আরও ঘি ঢালল কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য।

এসএফআই-এর পাল্টা জবাব

এসএফআই-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য এই মন্তব্যকে তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “যাদবপুর সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশের সেরা পুরস্কার পেয়েছে। আর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই লোকসভার পদে ডিমোশন পেয়েছেন। তাই শিরোনামে থাকতে এসব মন্তব্য করছেন।”

যাদবপুরের ভাবমূর্তি বনাম রাজনৈতিক বিতর্ক

বহুদিন ধরেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে গর্বের স্থান দখল করে এসেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি তার ইমেজে গভীর ছায়া ফেলছে। রাজনৈতিক দলগুলির পারস্পরিক দোষারোপে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন শিক্ষাজগতের বিশিষ্টরা।

তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুললেন, সিপিএম-এসএফআই-এর কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মাত্র ১০ শতাংশ ছাত্রের জন্য এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেই মন্তব্য করেন তিনি। ছাত্রী মৃত্যুর আবহেই তাঁর এই বক্তব্যে নতুন করে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি।

 

Leave a comment