নদিয়ার কল্যাণী সেন্ট্রাল মডেল স্কুলের ছাত্র সাম্যজ্যোতি বিশ্বাস অবশেষে জয়েন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। দীর্ঘ টালবাহানার পর ফল প্রকাশের খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা জেলা জুড়ে উল্লাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার, শিক্ষক এবং সহপাঠীরা আনন্দে ভরে উঠেছেন।
আইআইটি বম্বেতে প্রথম বর্ষের ছাত্র: সাম্যজ্যোতি
বর্তমানে সাম্যজ্যোতি আইআইটি বম্বেতে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এর প্রথম বর্ষের ছাত্র। এই সাফল্যে তার পরিবার বিশেষভাবে খুশি। বাবা ড: জয়ন্ত বিশ্বাস কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকোলজিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের প্রধান। মা তাঁর পড়াশোনার প্রতি পূর্ণ সমর্থনের জন্য অধ্যাপনার চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন।
ICSE-এর তৃতীয় স্থান থেকে জয়েন্টে সাফল্য
সাম্যজ্যোতি ইতিমধ্যেই ICSE-তে দেশের তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন। এই ধারাবাহিক সাফল্য দেখিয়ে তিনি ভবিষ্যতে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছেন। বাবা-মা জানিয়েছেন, এমন সাফল্য দেখে অবশ্যই তারা গর্বিত, যদিও ফল আরও আগে প্রকাশিত হলে ভালো হতো।
রাজ্যের সাফল্যে জনস্বার্থ মামলা ও আদালতের নির্দেশ
রাজ্যে জয়েন্ট পরীক্ষা প্রায় চার মাস আগে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু OBC সংরক্ষণ নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। তখন ফল প্রকাশ স্থগিত হয়ে যায়। পড়ুয়াদের জন্য এটা বড় দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করেছিল।
সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে স্বস্তি
সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় এবং প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের পূর্বের নির্দেশ অনুযায়ী আজ শুক্রবার রাজ্যে জয়েন্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে।
ফল প্রকাশ ও শিক্ষার্থীদের উল্লাস
গত ৭ আগস্ট ফল প্রকাশের কথা থাকলেও OBC সংরক্ষণ মামলার জটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে আজ শুক্রবার এই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে। শিক্ষার্থীরা খুশিতে আত্মহারা, পরিবারের মধ্যে আনন্দের লহর বয়ে গেছে।
ভবিষ্যতের দিকে এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি
সাম্যজ্যোতির বাবা-মা জানিয়েছেন, এই সাফল্য শুধুই একটি মাইলফলক, আগামীতে তিনি আরও বড় স্বপ্ন দেখবেন। তিনি কেবল প্রযুক্তি শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয়, উদ্যোক্তা হিসেবেও দেশ এবং বিশ্বে নিজের পরিচয় গড়ে তুলতে চান।