মানহানি মামলায় কঙ্গনা রানাউত হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন। আদালত আবেদন খারিজ করেছে, এখন বাথিন্দা আদালতে পুনরায় বিচার শুরু হবে। মামলাটি কৃষক আন্দোলনের সময় দেওয়া একটি বিবৃতির সঙ্গে জড়িত।
Kangana Ranaut: বলিউড অভিনেত্রী এবং মান্ডি থেকে বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট থেকে বড় ধাক্কা খেলেন। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মানহানির অভিযোগ বাতিল করার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পরে ২০২১ সাল থেকে আটকে থাকা বিচার এখন পুনরায় শুরু হবে। যদিও, কঙ্গনার কাছে এখনও সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার বিকল্প খোলা আছে।
পুরো ঘটনাটি কী?
এই বিতর্কটি ২০২০ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২১ সালের জানুয়ারিতে কৃষক আন্দোলনের সময় সামনে আসে। সেই সময় দেশজুড়ে চলা কৃষক আন্দোলন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক আলোচনা চলছিল। কঙ্গনা রানাউতও এই বিষয়ে টুইট করেছিলেন। তিনি একটি পোস্টে বাথিন্দার বাসিন্দা বৃদ্ধা মহিন্দর কউরের একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করেছিলেন যে, আন্দোলনে যোগদানকারী মহিলাদের টাকা দিয়ে আনা হয়েছে।
মহিন্দর কউরের প্রতিক্রিয়া এবং মামলা দায়ের
কঙ্গনার এই পোস্টের পরে পাঞ্জাবের মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যায়। বিশেষ করে মহিন্দর কউর এটিকে তাঁর সম্মানের উপর আঘাত মনে করেন। তিনি ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাথিন্দার একটি আদালতে কঙ্গনা রানাউতের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ দায়ের করেন। কউরের বক্তব্য ছিল যে, কঙ্গনা কোনো প্রমাণ ছাড়াই একটি বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছেন যার ফলে তাঁকে সমাজে অপমানিত হতে হয়েছে।
কঙ্গনার সাফাই এবং হাইকোর্টে আবেদন
কঙ্গনা রানাউত এই অভিযোগ খারিজ করার জন্য পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাঁর তরফে আদালতে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যে মন্তব্য করেছেন, তা কোনো বিশেষ ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে করা হয়নি। তাঁর আরও বক্তব্য ছিল যে, পোস্টে কোনো প্রকার খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না এবং এটি একটি সাধারণ মতামত ছিল।
হাইকোর্টের রায় এবং বিচার প্রক্রিয়ার পুনঃস্থাপন
তবে হাইকোর্ট কঙ্গনার যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে এবং স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, অভিযোগে উত্থাপিত বিষয়গুলির উপর বিচার চলাকালীন বিবেচনা করা হবে। আদালত বলেছে যে, কঙ্গনার মন্তব্য মানহানির পর্যায়ে পড়ে কিনা, তা বিচারের মাধ্যমেই স্পষ্ট হবে। এইভাবে আদালত বিচারের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে মামলার শুনানি পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে।