জনপ্রিয় গায়িকা কণিকা কাপুর, যিনি বেবি ডল এবং চিট্টিয়া কালাইয়াঁর মতো সুপারহিট গান দিয়েছেন, সম্প্রতি উর্ফি জাভেদের শো 'বঙ্ক উইথ উর্ফি'-তে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সঙ্গীত জগতের এক চাঞ্চল্যকর সত্যি উন্মোচন করেছেন।
Kanika Kapoor: বলিউড গায়িকা কণিকা কাপুর, যিনি সুপারহিট গান ‘বেবি ডল’ এবং ‘চিট্টিয়া কালাইয়াঁ’র জন্য পরিচিত, সম্প্রতি ভারতের সঙ্গীত জগতের এক চাঞ্চল্যকর সত্যি প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে ভারতে গায়কদের তাঁদের গানের জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিক দেওয়া হয় না। অনেক সময় তো পারিশ্রমিক মাত্র ₹১০১ হয়।
এই বিস্ফোরক তথ্য তিনি ফ্যাশন এবং টিভি ব্যক্তিত্ব উর্ফি জাভেদের শো ‘বঙ্ক উইথ উর্ফি’-তে দিয়েছেন। আলোচনার সময় কণিকা শুধু ইন্ডাস্ট্রির আসল চেহারা তুলে ধরেননি, বরং গায়করা আসলে কোথা থেকে উপার্জন করেন, তাও স্পষ্ট করেছেন।
গায়করা গানের জন্য কেন টাকা পান না?
কণিকা কাপুর জানিয়েছেন যে ভারতে গান রেকর্ড করা গায়করা খুব কম পারিশ্রমিক পান। তিনি বলেছেন:
''গায়করা আসলে গানের জন্য টাকা পান না। আমি আপনাদের সমস্ত চুক্তি দেখাতে পারি, তাতে লেখা থাকে যে গায়ককে মাত্র ₹১০১ দেওয়া হবে। কোম্পানিগুলো এটাকে দয়ার মতো দেখায়। ভারতের অনেক প্রথম সারির গায়কও এই সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তা সে তাঁদের গান সুপারহিট হলেও। এখানে কোনও প্রকাশনা সংস্থা বা শক্তিশালী রয়্যালটি সিস্টেম নেই।''
এই বক্তব্য সঙ্গীত ইন্ডাস্ট্রির সেই দিকটি তুলে ধরেছে, যা নিয়ে আগে খুব কম আলোচনা হয়েছে।
গায়করা আসল উপার্জন কোথা থেকে করেন?
কণিকাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় যে তাহলে গায়করা কীভাবে তাঁদের জীবিকা নির্বাহ করেন, তখন তিনি স্পষ্ট করে বলেন যে তাঁদের আসল উপার্জন লাইভ শো এবং কনসার্ট থেকে হয়। তিনি বলেন, ''যদি আপনি জীবিত থাকেন, গাইতে পারেন এবং শো করতে পারেন, তাহলে আপনি টাকা পাবেন। কিন্তু কাল যদি কিছু হয়ে যায়, তাহলে গায়কদের জন্য কোনও পেনশন প্ল্যান নেই। যতক্ষণ আপনার গলা আছে, ততক্ষণ উপার্জন আছে।''
এ থেকে স্পষ্ট যে ভারতের সঙ্গীত ইন্ডাস্ট্রিতে গায়কদের আয় পুরোপুরি তাঁদের সক্রিয় কর্মজীবন এবং জনপ্রিয়তার উপর নির্ভরশীল। কণিকা কাপুর ২০১৪ সালে ‘রাগিণী এমএমএস ২’ সিনেমার গান ‘বেবি ডল’ দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন। এই গানটি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিল এবং রাতারাতি তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।
কণিকা কাপুর বেশ কয়েকটি হিট গান দিয়েছেন, যার মধ্যে কয়েকটি হল:
- লাভলী (হ্যাপি নিউ ইয়ার)
- চিট্টিয়া কালাইয়াঁ (রয়)
- দেশি লুক (এক পহেলি লীলা)
- বিট পে বুটি (এ ফ্লাইং জাট)
তাঁর কণ্ঠ এবং স্বতন্ত্র শৈলী তাঁকে বলিউডের প্রথম সারির মহিলা প্লেব্যাক গায়িকাদের তালিকায় স্থান দিয়েছে। কণিকার এই বক্তব্য শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নয়, বরং এটি ভারতের সঙ্গীত ইন্ডাস্ট্রির একটি গুরুতর সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে। আন্তর্জাতিক স্তরে যেখানে গায়ক এবং গীতিকাররা গানের থেকে জীবনভর রয়্যালটি পান, সেখানে ভারতে এই ব্যবস্থা এখনও খুবই দুর্বল।