কাওাড় যাত্রা: দোকানদারদের হয়রানি ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে ওবৈসী

কাওাড় যাত্রা: দোকানদারদের হয়রানি ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘনের অভিযোগে ওবৈসী

কাওাড় যাত্রা পথে দোকানদারদের জোর করে নামফলক লাগাতে বাধ্য করা এবং হয়রানির অভিযোগ নিয়ে ওবৈসী যোগী সরকারের বিরুদ্ধে সরব। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করারও অভিযোগ।

UP নিউজ: অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)-এর প্রধান আসাদউদ্দিন ओवैসী উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেন, মুজাফ্ফরনগরে কাওাড় যাত্রা পথে দোকানদারদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হচ্ছে এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ লঙ্ঘন

ওবৈসী দাবি করেছেন যে উত্তরপ্রদেশ সরকার কর্তৃক জারি করা নির্দেশিকা সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশের পরিপন্থী, যেখানে আদালত গত বছর কাওাড় যাত্রা পথে দোকানগুলির বাইরে মালিকের নাম এবং মোবাইল নম্বর লেখার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তিনি বলেন, এই বছর আবারও একই নির্দেশ স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে কার্যকর করা হচ্ছে, যা সরাসরি আদালতের নির্দেশনার লঙ্ঘন।

দোকানদারদের জোর করে বোর্ড ও আধার কার্ডের দাবি

ওবৈসী বলেন, মুজাফ্ফরনগরে কাওাড় যাত্রা পথে দোকানদারদের জোর করে নামফলক লাগাতে এবং আধার কার্ড দেখাতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন যে কিছু দোকানদারের প্যান্ট খুলতে পর্যন্ত বলা হয়েছে, যা শুধু অসাংবিধানিক নয়, অপমানজনকও বটে।

তিনি প্রশ্ন করেন, "সরকার কি এখন এই সিদ্ধান্ত নেবে যে কোন ধর্মের ব্যক্তির দোকান চালানোর অধিকার আছে? এটা কেবল সাংবিধানিক অধিকারের লঙ্ঘনই নয়, ধর্মীয় বৈষম্যের প্রতীকও বটে।"

পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

ওবৈসী প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, পুলিশের কাজ হল নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা, দোকানদারদের হয়রানি করা নয়। তাঁর মতে, প্রশাসন নিজেই এই পুরো বিষয়টিকে তামাশা বানাচ্ছে এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশগুলি উপেক্ষা করছে।

তিনি আরও বলেন, "সরকারের উচিত দোষীদের শাস্তি দেওয়া, কিন্তু এখানে প্রশাসনই নিয়ম লঙ্ঘন করছে। কে কোন হোটেলে বা দোকানে আছে এবং কোন ধর্মের, তা নির্ধারণ করা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।"

সরকারের বক্তব্য: নামফলক জরুরি

সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশ অনুযায়ী, কাওাড় যাত্রা পথে অবস্থিত হোটেল, রেস্তোরাঁ এবং দোকানগুলিতে নামফলক লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল শিবভক্ত কাওাড়িদের জানানো যে তাঁরা যেখানে খাবার খাচ্ছেন বা বিশ্রাম নিচ্ছেন, সেটি কার মালিকানাধীন।

মুজাফ্ফরনগরের দিল্লি-দেরাদুন হাইওয়ে-58-এর ধারে অবস্থিত হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলিতে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, এই পদক্ষেপ শুধুমাত্র নিরাপত্তা এবং স্বচ্ছতার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে, কোনও বিশেষ সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে নয়।

Leave a comment