গুরুতর ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত মন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণের জন্য বিল

গুরুতর ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত মন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণের জন্য বিল

কেন্দ্রীয় সরকার ফৌজদারি মামলা সংক্রান্ত একটি বিল সংসদে পেশ করার পরিকল্পনা করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় এই বিলটিকে সংসদের একটি যৌথ কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব পেশ করেছেন।

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই সংসদে গুরুতর ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণ সংক্রান্ত একটি বিল পেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই বিলটি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় এটি সংসদের যৌথ কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব পেশ করেছেন।

বিলে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বা কোনও রাজ্য/ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রী যদি গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগে একটানা ৩০ দিন ধরে গ্রেপ্তার বা আটক থাকেন, তাহলে তাঁকে পদ থেকে সরানো হতে পারে। বলা হচ্ছে, দেশে রাজনীতিতে সততা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

মনোজ ঝা আপত্তি জানিয়েছেন

বিহার থেকে আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেছেন, এই পদক্ষেপ সংবিধানের পরিপন্থী এবং এতে অভিযুক্ত ও দোষীর মধ্যেকার পার্থক্য মুছে যাবে। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এই বিলের উদ্দেশ্য হল বিরোধী নেতাদের অস্থির করা। মনোজ ঝা বলেন, "এটা একটা কৌশল, যেখানে আপনারা নির্বাচনে জিততে পারবেন না, সেখানে অস্থির করে দিন। বিজেপি তাদের কিছু লোককেও সরাতে চাইছে। ইডি সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিলেন যে, আপনারা রাজনীতির অংশ হয়ে যাচ্ছেন।"

তাঁর বিশ্বাস, এই বিল পাশ হলে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার উপর অতিরিক্ত প্রভাব পড়বে এবং গণতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হবে। তিনি আরও বলেন যে, বিরোধীরা এই বিলের বিরোধিতা করবে এবং এটিকে সংবিধান বিরোধী বলে মনে করে।

সঞ্জয় ঝা স্বাগত জানিয়েছেন

অন্যদিকে, জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা বিলটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন, যা রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। সঞ্জয় ঝা বলেছেন, "এটি খুবই স্বাগত জানানোর মতো একটি পদক্ষেপ। প্রধানমন্ত্রী নিজেকেও এই আইনের আওতায় আনছেন। এটা এই কারণে হল যে, যাঁরা সংবিধানের বই নিয়ে ঘোরেন, সেই ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রীদের যখন কোর্ট জেলে পাঠিয়েছিল, তখন তাঁরা তিহার জেল থেকে নিজেদের শাসন চালাচ্ছিলেন।"

তাঁর বক্তব্য, এই বিল এই ধরনের মামলায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করতে সাহায্য করবে। এই বিল পাশ হলে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী সহ সকল মন্ত্রী গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগে গ্রেপ্তার হলে তাঁদের পদ থেকে সরানো যাবে। এতে রাজনৈতিক জবাবদিহি বাড়বে, তবে বিরোধীরা একে রাজনৈতিক হাতিয়ার মনে করছে।

Leave a comment