৪১ বছর বয়সেও ক্যাটরিনা কাইফের ফিটনেসের রহস্য ফাঁস: সরল ডায়েট ও স্ট্রেংথ ট্রেনিং-এর মেলবন্ধন

৪১ বছর বয়সেও ক্যাটরিনা কাইফের ফিটনেসের রহস্য ফাঁস: সরল ডায়েট ও স্ট্রেংথ ট্রেনিং-এর মেলবন্ধন

৪১ বছর বয়সেও ক্যাটরিনা কাইফ তাঁর ফিটনেস ও ইয়ং লুক ধরে রেখেছেন। পুষ্টিবিদ শ্রেয়া শাহের মতে, তাঁর ডায়েট ও ওয়ার্কআউট রুটিন মূলত সরলতা, প্রাকৃতিক ডিটক্স এবং স্ট্রেংথ ট্রেনিং-এর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

বলিউড: ক্যাটরিনা কাইফ তাঁর স্টাইল, গ্ল্যামার এবং ফিটনেসের জন্য সবসময়ই চর্চায় থাকেন। ৪১ বছর বয়সেও তাঁর ফিটনেস এবং ইয়ং লুক সকলকে অবাক করে দেয়। সম্প্রতি পুষ্টিবিদ শ্রেয়া শাহ একটি সাক্ষাৎকারে ক্যাটরিনার ডায়েট এবং ফিটনেসের গোপন রহস্য ফাঁস করেছেন, যা ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ক্যাটরিনা কাইফ দিনে মাত্র দুবার প্রধান খাবার খান

শ্রেয়া শাহের মতে, ক্যাটরিনা কাইফ দিনে মাত্র দুবার প্রধান খাবার খান। এর পাশাপাশি, প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর তিনি হালকা কিছু খাওয়ার নিয়ম মেনে চলেন। এই পদ্ধতি তাঁর মেটাবলিজম ধরে রাখতে এবং শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।

ভারতীয় এবং এশীয় খাবার পছন্দ করা সত্ত্বেও, ক্যাটরিনা বেশিরভাগ সময় বাড়ির খাবারই খান। তিনি খাবার সঙ্গে নিয়ে যান এবং প্রায়শই একই খাবার পুনরায় খান। তাঁর মতে, সরলতা এবং নিয়মিততাই শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী।

ক্যাটরিনা কাইফের ডায়েটে রয়েছে প্রাকৃতিক ডিটক্স ও স্বাস্থ্যকর খাবার

ক্যাটরিনা তাঁর হজম এবং শরীরকে পরিশুদ্ধ করার জন্য অনেক প্রাকৃতিক উপায় মেনে চলেন। তিনি কালো কিশমিশ খান এবং মৌরি চিবোন, যা তাঁর হজমশক্তি উন্নত করতে এবং শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। এছাড়াও, তিনি লাউয়ের রস পান করেন। যদি লাউ উপলব্ধ না থাকে, তবে তিনি পুদিনা, আমলকি বা ধনে পাতার রস পান করেন।

তাঁর ডায়েটে সবসময় লিন প্রোটিন, সবজি, ব্রাউন রাইস এবং মিষ্টি আলু অন্তর্ভুক্ত থাকে। এর পাশাপাশি, তিনি দুগ্ধজাত পণ্য, গ্লুটেন, গম এবং অতিরিক্ত পরিশোধিত চিনি এড়িয়ে চলেন। শরীরে জলের অভাব যাতে না হয়, সেজন্য তিনি প্রতিদিন কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল পান করেন এবং ইলেকট্রোলাইটসের জন্য ডাবের জলও পান করেন।

ফিট থাকার জন্য ফাংশনাল ট্রেনিং ও স্ট্রেংথ

ক্যাটরিনা তাঁর ফিটনেস ধরে রাখার জন্য নিয়মিত ওয়ার্কআউট এবং ব্যায়াম করেন। তাঁর ফিটনেস রুটিনে ফাংশনাল ট্রেনিং, স্ট্রেংথ ট্রেনিং এবং কার্ডিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ব্যায়ামগুলি তাঁর শরীরকে টোনড এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

ক্যাটরিনার ফিটনেস মন্ত্রের মধ্যে খাবার পর হাঁটাও অন্তর্ভুক্ত। তিনি প্রত্যেক খাবার পর ১০০ পা হাঁটেন, যা শতপাবলী নামে পরিচিত। এটি হজমশক্তি উন্নত করতে, শরীরকে হালকা রাখতে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

ফিটনেসে সঠিক জীবনযাত্রা ও আয়ুর্বেদিক উপায়

ক্যাটরিনার জীবনযাত্রাও তাঁর ফিটনেসের একটি বড় অংশ। তিনি তাড়াতাড়ি ঘুমান এবং তাড়াতাড়ি ওঠেন, যা তাঁর শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। এটি তাঁর এনার্জি এবং লুক ধরে রাখতেও সাহায্য করে।

ক্যাটরিনা তাঁর স্বাস্থ্যের জন্য অয়েল পুলিংও করেন। আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি মেনে চলেন তিনি, যা শরীর ও মনকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে। লাউ, কালো কিশমিশ এবং মৌরি তাঁর ডায়েট প্ল্যানের নিয়মিত অংশ।

Leave a comment