কর্নাটকে রাজনৈতিক সংকট: মন্ত্রীর ভিন্ন মত, মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার নির্দেশ

কর্নাটকে রাজনৈতিক সংকট: মন্ত্রীর ভিন্ন মত, মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফার নির্দেশ

কর্নাটকের সমবায় মন্ত্রী এন রাজান্না রাহুল গান্ধীর ভোট চুরির অভিযোগে ভিন্ন মত দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেছেন। রাজনৈতিক তৎপরতা তুঙ্গে, বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলেছে।

Karnataka: কর্নাটকে রাজনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী নির্বাচনে ভোট চুরির অভিযোগ করার পর বিরোধীরা জোরদার বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এরই মধ্যে, কর্ণাটক সরকারের সমবায় মন্ত্রী এন রাজান্না রাহুল গান্ধীর বক্তব্য থেকে ভিন্ন মত পোষণ করায় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া রাজান্নাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।

রাহুল গান্ধীর ভোট চুরির অভিযোগ এবং বিরোধীদের সমর্থন

বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি নির্বাচনে ব্যাপক ভোট চুরির অভিযোগ করেছেন। তাঁর এই বক্তব্য বিধানসভায় এবং বাইরেও খুব আলোচিত হয়েছে। বিরোধী দলগুলো রাহুলের এই অভিযোগকে সমর্থন করেছে এবং অনেক জায়গায় বিক্ষোভও করেছে। তাদের বক্তব্য ছিল গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এ ধরনের অভিযোগের তদন্ত হওয়া উচিত যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় থাকে।

এন রাজান্নার বক্তব্য ও বিতর্ক

কর্নাটক সরকারের সমবায় মন্ত্রী এন রাজান্না এই বিতর্কিত বিষয়ে ভিন্ন মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর সম্পূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোরও নিজেদের দায়িত্ব স্বীকার করা উচিত। রাজান্নার এই বক্তব্য কংগ্রেস পার্টির ভেতরে কিছু স্ববিরোধিতা দেখাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ইস্তফা চাইলেন

এই বিবৃতির পরে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কার্যালয় ঘোষণা করেছে যে এন রাজান্নাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কারণ রাজান্না দলের সিদ্ধান্তের থেকে আলাদা মত রেখেছেন এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী কার্যালয়ের সূত্র অনুযায়ী রাজান্নাকে পদত্যাগ করার জন্য বলা হয়েছে এবং তিনি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন।

বিধানসভায় আলোচনা ও বিজেপির চাপ

কর্নাটক বিধানসভার বাদল অধিবেশনের সময় বিজেপি বিধায়করা এই বিষয়ে সরকারের কাছে পরিস্থিতি স্পষ্ট করার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, মন্ত্রীর এই বক্তব্য দলের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর প্রশ্ন তোলে। এরই মধ্যে আইন ও সংসদীয় কার্য মন্ত্রী এইচ. কে. পাতিল এবং এন রাজান্নার কাছেও এই বিষয়ে কৈফিয়ত চাওয়া হয়েছে।

এন রাজান্না গত কিছুদিন ধরে রাজনৈতিক আলোচনায় রয়েছেন। তিনি সম্প্রতি 'আগস্ট বিপ্লব'-এর দাবি করেছিলেন, যা থেকে অনুমান করা হচ্ছে যে কর্ণাটকে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। এই দাবিতে সরকারের ভেতরেও চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

Leave a comment