নির্যাতিতার উপর নজরদারি!

নির্যাতিতার উপর নজরদারি!
সর্বশেষ আপডেট: 30-11--0001

২৬ জুন সকাল থেকেই নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের গতিবিধির উপর নজর রাখছিলেন অভিযুক্ত মনোজিত মিশ্র ও তাঁর ঘনিষ্ঠ জইব। পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, তাদের আশঙ্কা ছিল, নির্যাতিতা থানায় অভিযোগ করতে চলেছেন। সেই শঙ্কা থেকেই শুরু হয় নজরদারি।

আইনজীবীর সঙ্গে গোপন যোগাযোগ

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অভিযোগ জমা পড়ার সম্ভাবনা টের পেয়ে সেদিনই মনোজিত ফোন করেন এক আইনজীবীকে। সিডিআর থেকে সেই তথ্য উঠে এসেছে। আইনি পরামর্শ নিতেই এই তৎপরতা? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

গোয়েন্দাদের হাতে তদন্ত, গঠন সিট

বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ কেস হাতে নেয়। তৈরি হয়েছে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT)। উইমেন গ্রিভান্স সেলের অফিসার হচ্ছেন তদন্তকারী অফিসার। থাকবেন থানার অভিজ্ঞ তদন্তকারীরা ও সাইবার বিভাগের অফিসাররাও।

ধৃত নিরাপত্তারক্ষীর বয়ানে চমক

নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেরা থেকে উঠে এল বিস্ফোরক তথ্য। কলেজের গেটে বাইরের লোকদের নাম-পরিচয় নথিভুক্ত করার যে রেজিস্টার ছিল, তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মনোজিত নিজেই। কারণ? যেন কেউ জানতেই না পারে, কে কখন কলেজে আসছে।

ইউনিয়ন রুমে চলত ‘অতিথি আসর’

পিনাকী দাবি করেছেন, বাইরের লোকজনকে প্রায়শই কলেজে আনতেন মনোজিত। তাঁদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন ইউনিয়ন রুমে। এই ‘আসরে’র তথ্য যাতে রেজিস্টারে না ওঠে, সেই কারণেই বন্ধ করে দেওয়া হয় অতিথিদের নাম লেখার নিয়ম।

তদন্তকারীদের নজরে আরও চক্রান্তের ইঙ্গিত

এই মুহূর্তে গোয়েন্দাদের ধারণা, ঘটনার পর থেকেই সাজানো হয়েছিল আইনি ও প্রমাণ মুছে ফেলার কৌশল। নির্যাতিতা ও পরিবারের গতিবিধি নজরে রেখে, আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে, রেজিস্টার বন্ধ করে—তথ্য আড়াল করার চেষ্টা হয়েছিল সুপরিকল্পিতভাবে।

মনোজিতের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে

তদন্তে একের পর এক তথ্য উঠে আসায় মনোজিত মিশ্রের ভবিষ্যৎ গভীর সংকটে। সরকারি কলেজের এক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকেও এমন আচরণ শুধু আইনত অপরাধ নয়, সামাজিকভাবেও এক ন্যক্কারজনক অধ্যায় হয়ে উঠছে।

Leave a comment