ন’মাস বন্ধ থাকছে কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন, বিপাকে হাজার হাজার নিত্যযাত্রী
দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন আগামী নয় মাসের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে সংস্কারকাজের কারণে। ফলে সমস্যায় পড়তে চলেছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা নিত্যযাত্রী ও কর্মজীবীরা। প্রতিদিন যে স্টেশন ধরে হাজার হাজার মানুষ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করতেন, সেই স্টেশন বন্ধ থাকায় নাজেহাল হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিশেষ শাটল পরিষেবায় স্বস্তি, কবি সুভাষ থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম পর্যন্ত চলবে বাস
এই ভোগান্তি কিছুটা হলেও লাঘব করতে রাজ্য পরিবহণ দফতরের তরফে চালু করা হয়েছে এক বিশেষ শাটল বাস পরিষেবা। এই বাস কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশন থেকে যাত্রীদের সরাসরি পৌঁছে দেবে শহিদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশনে। সেখান থেকেই যাত্রীরা মেট্রো ধরে যেতে পারবেন তাঁদের গন্তব্যে। এই উদ্যোগে খানিকটা স্বস্তি ফিরবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
১০ টাকায় যাত্রা! ন্যূনতম খরচে যাত্রীদের জন্য বিকল্প যাতায়াতের বন্দোবস্ত
পরিবহণ দফতরের ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতিটি শাটল বাসে থাকবে ৩২টি আসন। যাত্রীদের কাছ থেকে নেওয়া হবে মাত্র ১০ টাকা ভাড়া। অর্থাৎ, ন্যূনতম খরচেই মিলবে এই বিশেষ পরিষেবা। এই উদ্যোগ মূলত নিত্যযাত্রীদের কথা মাথায় রেখেই নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সরকারিভাবে।
পরিষেবা মিলবে দিনে দু’বার, সকাল ও সন্ধের ব্যস্ত সময়ে চলবে শাটল বাস
বাস চলবে প্রতিদিন দুটি ভাগে—সকাল ৮টা থেকে ১১টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। অর্থাৎ অফিসযাত্রা ও ফেরার সময়েই এই পরিষেবা মিলবে। যাত্রীদের যাতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে না হয়, সেই জন্য নির্দিষ্ট টাইম টেবিল মেনেই চলবে বাস। সময়মতো পৌঁছনোর নিশ্চয়তা দিতেই এই নির্দিষ্ট ব্যবস্থা।
রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে দ্রুত সিদ্ধান্ত, প্রশংসায় যাত্রীরা
যাত্রীদের অসুবিধা বিবেচনা করে পরিবহণ দফতর যে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা ইতিমধ্যেই প্রশংসা কুড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। রাজ্য সরকার কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে, যেন সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করে কবি সুভাষ স্টেশন আবার সচল করা যায়। কারণ প্রতিদিন এই স্টেশন ব্যবহার করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ শহরতলির হাজার হাজার মানুষ।
শুধু মেট্রো নয়, কবি সুভাষ ছিল বাস যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র
শুধু মেট্রো নয়, কবি সুভাষ স্টেশনটি বহু বাস রুটেরও মূল কেন্দ্র। কলকাতার বাইরের বহু যাত্রী এই স্টেশনে পৌঁছে শহরের নানা প্রান্তে যাতায়াত করেন। ফলে এই স্টেশন বন্ধ হওয়া মানেই একাধিক স্তরে যোগাযোগে ধাক্কা। সেই দিক বিবেচনা করেই রাজ্য পরিবহণ দফতরের এই তৎপরতা।
যাত্রীদের আশ্বাস: এই উদ্যোগ অন্তত সাময়িক স্বস্তি দেবে
যাত্রীদের অনেকেই বলছেন, যদিও স্টেশন বন্ধ হওয়ায় সমস্যা হবে, কিন্তু এই শাটল পরিষেবা অন্তত যাতায়াতে স্বস্তি দেবে। এর পাশাপাশি তাঁরা চাইছেন, সংস্কার যেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হয়। কারণ দীর্ঘদিন এই স্টেশন বন্ধ থাকলে কাজের জায়গা ও পড়াশোনায় যাতায়াত বাধাপ্রাপ্ত হবে।