কিম ইয়ো জং-এর কড়া বার্তা: আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি উত্তর কোরিয়ার হুঁশিয়ারি

কিম ইয়ো জং-এর কড়া বার্তা: আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি উত্তর কোরিয়ার হুঁশিয়ারি

উত্তর কোরিয়ার কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকাকে নিশানা করলেন। সীমান্তে লাউডস্পিকার বিতর্ক এবং উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিস্থিতিতে কড়া বিবৃতি দিলেন।

North Korea: উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা নিয়ে কড়া বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার উপর অভিযোগ করেছেন যে তারা মিথ্যা ছড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য প্রচার করছে। কিম ইয়ো জং দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি ও পদক্ষেপকে ব্যঙ্গ করে বলেন যে পিয়ংইয়ং বর্তমানে কোনো কূটনৈতিক আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী নয়।

সীমান্তে উত্তেজনা এবং লাউডস্পিকার বিতর্ক

উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে সীমান্তে উত্তেজনা বজায় রয়েছে। প্রায়শই দুই দেশের সৈনিকরা সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ বা নজরদারির কাজে লিপ্ত থাকে। এছাড়াও, বড় বড় লাউডস্পিকারের মাধ্যমে একে অপরের বিরুদ্ধে প্রচার সামগ্রীও পাঠানো হয়। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করেছিল যে তারা সীমান্ত থেকে কিছু লাউডস্পিকার সরিয়ে নিয়েছে, যাতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা কমানো যায়।

কিম ইয়ো জং এই দাবি খারিজ করে বলেন যে এটি কেবল লোক দেখানো। তাঁর বক্তব্য ছিল যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতার ক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার এই চেষ্টা অপ্রতুল এবং পিয়ংইয়ংয়ের উপর এর কোনো প্রভাব পড়বে না।

কিম ইয়ো জং-এর ব্যঙ্গ ও সমালোচনা

কিম ইয়ো জং সরাসরি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি ব্যঙ্গ করে বলেন যে সিওল সরকার এখনও আশা করে আছে যে দুই দেশ পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করতে পারবে। তাঁর এই বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট যে উত্তর কোরিয়া আপাতত কোনো ধরনের সংলাপ বা কূটনৈতিক আলোচনায় শামিল হতে চায় না।

তিনি আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার আসন্ন যৌথ সামরিক মহড়ার উল্লেখ করে বলেন যে পিয়ংইয়ং এটিকে তাদের শত্রুতা হিসেবে দেখে। এর মানে হল উত্তর কোরিয়া কোনো ধরনের সহযোগিতা বা সম্মিলিত রণনীতিতে অংশ নেওয়াকে আপাতত মানতে রাজি নয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিক্রিয়া

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফের মুখপাত্র কর্নেল লি সুং জুন কিম ইয়ো জং-এর বিবৃতির প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে তাঁদের সেনা নিশ্চিত করেছে যে কিছু লাউডস্পিকার সরানো হয়েছে, কিন্তু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উত্তর কোরিয়ার বিবৃতিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়।

কর্নেল লি-র এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায় যে দক্ষিণ কোরিয়া আপাতত উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু উত্তর কোরিয়ার কার্যকলাপ এবং বাগাড়ম্বরপূর্ণ কথাবার্তার উপর নজর রাখছে।

Leave a comment