কোটা দশেরা মেলায় ভগবান লক্ষ্মীনারায়ণের শোভাযাত্রায় একটি হাতি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে, যার ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বৃষ্টির কারণে দেশের সবচেয়ে বড় রাবণও সম্পূর্ণ পুড়তে পারেনি। কেউ আহত হয়নি।
কোটা: রাজস্থানের কোটায় জাতীয় দশেরা মেলার সময় ভগবান লক্ষ্মীনারায়ণ জির শোভাযাত্রায় একটি হাতি হঠাৎ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে। মাহুত হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন, কিন্তু হাতিটি ভিড়ের দিকে ছুটে যায়।
ভিড়ের মধ্যে হঠাৎ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। লোকজন ব্যারিকেড টপকে পালাতে শুরু করে, কয়েকজন পড়ে যায় এবং হাতির ধাক্কায় পাশের একটি বিদ্যুতের খুঁটিও পড়ে যায়। সৌভাগ্যবশত, কেউ গুরুতর আহত হননি। এই ঘটনা মেলায় আসা দর্শকদের শ্বাসরুদ্ধ করে দেয়।
লক্ষ্মীনারায়ণ জির শোভাযাত্রা এবং সাংস্কৃতিক ট্যাবলো
ভগবান লক্ষ্মীনারায়ণ জির শোভাযাত্রায় ট্যাবলোর মাধ্যমে রাম ও রাবণের সেনাকে যুদ্ধ করতে দেখা যায়। রাক্ষসরা ঘোড়ায় চড়েছিল, আর বানর সেনা হাতে গদা নিয়ে তাদের সাথে যুদ্ধ করছিল। এর পাশাপাশি মা কালিকা কর্তৃক অসুর সংহার এবং তাঁর রুদ্র রূপের ট্যাবলোও প্রদর্শিত হয়। সেহেরিয়া এবং ভিল উপজাতিরা তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে মেলার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শকরা জয়ধ্বনি ও উৎসাহের সাথে এই বর্ণিল আয়োজন উপভোগ করছিলেন।
বৃষ্টির কারণে রাবণ দহন অসম্পূর্ণ
দ্বিতীয় বড় ঘটনাটি রাবণ দহনের সময় ঘটে। কোটা মেলায় তৈরি দেশের সবচেয়ে বড় রাবণের কুশপুত্তলিকা বৃষ্টির কারণে ভিজে গিয়েছিল। এর ফলে রাবণের কুশপুত্তলিকাটি পুরোপুরি পুড়তে পারেনি।
বারুদ রাবণের ভিতরে জ্বলতে শুরু করে, কিন্তু কুম্ভকর্ণের মুখ এবং কুশপুত্তলিকার বেশিরভাগ অংশ পুড়তে পারেনি। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা এবং মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল ভিড়ের নিরাপত্তা এবং বৃষ্টির কারণে মাঠ থেকে দ্রুত ফিরে যান। বৃষ্টি রাবণ দহনের আনন্দও ম্লান করে দেয়।
রাবণ দহনে প্রশাসন সতর্ক
হাতির বিশৃঙ্খলা এবং রাবণ দহনে সৃষ্ট অসুবিধা দর্শক ও প্রশাসনকে সতর্ক করে দেয়। কর্মকর্তারা জানান, হাতি অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়লে যেকোনো বড় দুর্ঘটনা এড়াতে দ্রুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
বৃষ্টি এবং ভিড় বিবেচনা করে প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে এবং দর্শকদের নিরাপদে মাঠ থেকে বের করে আনে। এই ঘটনা মেলার নিরাপত্তা এবং হাতি পরিচালনায় উন্নতির প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।