লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (LPL)-এর পাঁচটি সফল সিজন সম্পন্ন হয়েছে, এবং এখন দর্শকেরা ষষ্ঠ সিজনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। LPL ২০২৫-এর ষষ্ঠ সিজন ২৭ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
স্পোর্টস নিউজ: লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (LPL) ২০২৫-এর ষষ্ঠ সিজনটি ক্রিকেট অনুরাগীদের জন্য বেশ কিছু নতুন রোমাঞ্চ নিয়ে আসতে চলেছে। এই টুর্নামেন্টটি ২০২৫ সালের ২৭ নভেম্বর শুরু হয়ে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। মজার বিষয় হল, এই সিজনে একটি নতুন দল অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যার ফলে LPL এখন পাঁচটি দলের পরিবর্তে ছয় দলের একটি টুর্নামেন্ট হতে পারে।
তিনটি প্রধান স্থানে অনুষ্ঠিত হবে সমস্ত ম্যাচ
ESPNcricinfo-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, LPL ২০২৫-এর ম্যাচগুলি তিনটি প্রধান স্থানে অনুষ্ঠিত হবে - কলম্বো, ক্যান্ডি এবং ডাম্বুলা। আয়োজকদের মতে, এই স্থানগুলির পিচ এবং সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ডাম্বুলা এবং ক্যান্ডিতে আগের বার অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলিতে বেশ কিছু হাই স্কোরিং গেম এবং চমৎকার ইনিংস দেখা গিয়েছিল, যা আয়োজকদের যথেষ্ট সন্তুষ্ট করেছে।
LPL-এর টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর সামান্থা ডোডানভেলা নিশ্চিত করেছেন যে ষষ্ঠ দলটিকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, "সম্ভাব্য মালিকদের পটভূমি যাচাই করা হচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে।" যদি এই দল অন্তর্ভুক্ত হয়, তবে এটি টুর্নামেন্টের প্রতিযোগিতা আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬-এর প্রস্তুতির জন্য পরিবর্তিত হয়েছে তারিখ
গত কয়েক বছর ধরে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের আয়োজন জুলাই-আগস্ট মাসে করা হত, কিন্তু এইবার এর সময়সূচি পরিবর্তন করে নভেম্বর-ডিসেম্বরে করা হয়েছে। এর প্রধান কারণ হল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৬-এর প্রস্তুতির জন্য খেলোয়াড়দের আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলার সুযোগ দেওয়া। সামান্থা ডোডানভেলা বলেন, এই সময়সূচির ফলে খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আগে নিজেদের ফর্ম এবং দক্ষতা যাচাই করার যথেষ্ট সময় পাবে। আমরা চাই LPL শুধুমাত্র একটি লিগ না থেকে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের জন্য একটি শক্তিশালী মঞ্চ হয়ে উঠুক।
LPL-এর এ পর্যন্ত পাঁচটি সিজন হয়েছে এবং এই পাঁচটিতেই জাফনা কিংসের পারফরম্যান্স সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিল। দলটি ২০২০, ২০২১, ২০২২ এবং ২০২৪ সালে শিরোপা জিতেছে। অন্যদিকে, ২০২৩ সালের সিজনটি ভি-লাভ ক্যান্ডি জিতেছিল, যেখানে তারা ফাইনালে ডাম্বুলা অরাকে পরাজিত করেছিল।