মহারাষ্ট্র সরকারের মহিলাদের জন্য শুরু করা ‘মুখ্যমন্ত্রী মাঝি লাডকী বহিন যোজনা’ এখন বড়সড় কেলেঙ্কারির জেরে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল রাজ্যের আর্থিকভাবে দুর্বল মহিলাদের প্রতি মাসে ₹1500 আর্থিক সহায়তা দেওয়া, কিন্তু এখন প্রকাশ হয়েছে যে প্রায় 14,298 জন পুরুষ নিজেকে মহিলা প্রমাণ করে এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ₹21.44 কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এই প্রকল্পটি 2024 সালের আগস্ট মাসে শুরু হয়েছিল এবং তখন থেকেই এই জালিয়াতি চলছিল, যা এখন প্রকাশ্যে এসেছে। এই গুরুতর বিষয়টির তদন্তের জন্য সুপ্রিয়া সুলে কেন্দ্রের কাছে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
সুপ্রিয়া সুলের বড় দাবি
এনসিপি (শরদ পাওয়ার গোষ্ঠী)-র কার্যকরী সভাপতি সুপ্রিয়া সুলে দাবি করেছেন যে ‘লাডকী বহিন যোজনা’-তে প্রায় 14 হাজার পুরুষ সুবিধা পেয়েছে। পুনেতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন যে যখন এই প্রকল্পটি শুধুমাত্র মহিলাদের জন্য ছিল, তখন পুরুষ সুবিধাভোগীদের নাম তালিকায় কীভাবে এল?
তিনি সরকারের কাছে সেই ठेकेदार-এর পরিচয় জানতে চেয়েছেন, যে এই জাল নামগুলি সুবিধাভোগীদের তালিকায় যুক্ত করেছে। সুপ্রিয়া সুলে বলেছেন যে সরকার অনেক ছোটখাটো বিষয়েও সিবিআই এবং ইডি-র মতো সংস্থার তদন্ত করায়, তাহলে এই কেলেঙ্কারিতে এত নীরবতা কেন?
অজিত পাওয়ারের কড়া মনোভাব
এই পুরো ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বলেছেন যে তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে পুরুষরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছে, তাহলে তাদের কাছ থেকে পুরো টাকা ফেরত নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান যে কিছু মহিলা চাকরি করা সত্ত্বেও এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন, যা প্রকল্পের নিয়মের বিরুদ্ধে। পাওয়ার বলেছেন যে সুবিধাভোগীরা যদি জেনেশুনে ভুল তথ্য দিয়ে থাকেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অদিতি तटকরে-র প্রকাশ
রাজ্যের মহিলা ও শিশু विकास মন্ত্রী অদিতি तटকরে তার এক্স (পূর্বে টুইটার) অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন যে এই প্রকল্পে बड़ी সংখ্যক অযোগ্য लोग সুবিধা নিচ্ছেন।
आईटी विभाग থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে যে প্রায় 26.34 लाख लाभार्थी এমন রয়েছেন যারা প্রকল্পের শর্ত পূরণ করেন না, তা সত্ত্বেও उन्हें भुगतान করা হয়েছে।
এদের মধ্যে অনেকেই আগে থেকে অন্য সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন, কিছু পরিবারের দুই জনের বেশি সদস্য এই প্রকল্পের लाभार्थी, और कुछ मामलों में पुरुषों द्वारा भी योजना के लिए आवेदन किया गया था।
জুন 2025 থেকে সুবিধা निलंबित
মন্ত্রী तटकरे জানিয়েছেন যে এই অনিয়মের কারণে জুন 2025 থেকে এই 26.34 লাখ সুবিধাভোগীর भुगतान अस्थायी रूप से रोक दिया गया है। যদিও, বাকি প্রায় 2.25 কোটি যোগ্য মহিলাদের জুন মাসের राशि वितरित করা হয়েছে।
এখন এই অযোগ্য সুবিধাভোগীদের जांच জেলা কালেक्टरদের निगरानी में होगी। যে সুবিধাভোগীরা যোগ্য প্রমাণিত হবেন, उन्हें পুনরায় প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সুপ্রিয়া সুলে জোর দিয়ে বলেছেন যে সরকারের উচিত এই ধরনের জাল সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া और इस घोटाले में शामिल लोगों की पहचान के लिए जल्द से जल्द निर्णय लेना चाहिए।
সিস্টেমের উপর প্রশ্ন
এই প্রকল্পে हुए घोटाले के बाद राज्य की जांच और निगरानी प्रणाली पर गंभीर सवाल खड़े हो गए हैं। इतनी बड़ी संख्या में पुरुषों और अपात्र लोगों को योजना का लाभ कैसे मिल गया, यह चिंता का विषय बन गया है।
यह पहली बार नहीं है जब महाराष्ट्र में सरकारी योजनाओं में इस तरह की गड़बड़ियां सामने आई हों। इससे पहले सैनिटरी नैपकिन सब्सिडी योजना और शिव भोजन थाली योजना में भी अपात्र लाभार्थियों को पैसे देने के मामले सामने आ चुके हैं।